একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
মঙ্গলবার গভীর রাত। চিড়িয়াখানার গেট দিয়ে ঢুকল ছ’টি বিশাল আকারের এসি গাড়ি। গ্রিন করিডর করে নিয়ে আসা হয়েছে গাড়িগুলিকে। প্রথম গাড়ির পিছনের দরজা খুলতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল চিড়িয়াখানায়। লোহার খাঁচার ভিতর চকচক করছে দু’টি চোখ। গায়ের চামড়া সাদা। ডোরাকাটা দাগ। ক্ষিপ্র হাবভাব। মাংস দেওয়া হয়েছিল। সেগুলি খেয়েছে। পড়ে রয়েছে হাড়।
সেন্ট্রাল জু অথরিটির উদ্যোগে বিশেষ বিনিময় কর্মসূচিতে বিশাখাপত্তনমের ইন্দিরা গান্ধী জুলজিক্যাল পার্ক থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় এল নতুন অতিথি— সাদা বাঘ। এ নিয়ে পশুশালায় সাদা বাঘের সংখ্যা হল দুই। আলিপুর পশুশালার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশের চিড়িয়াখানার মধ্যে প্রাণী বিনিময় কর্মসূচি নেওয়া হয়। তাতে সাদা বাঘ ছাড়াও বেশ কিছু প্রাণী আলিপুরে নিয়ে আসা হয়েছে। একজোড়া করে লেমুড়, নেকড়ে, স্ট্রাইপড হায়না, কালো রাজহাঁস আনা হয়েছে কলকাতায়। পাশাপাশি পাঁচটি বন্য কুকুর ও তিনটি হগ হরিণও আলিপুরে এসেছে। কলকাতা থেকে বিশাখাপত্তনমে পাঠানো হয়েছে দু’টি নর্দান জিরাফ, দু’টি স্কারলেট ম্যাকাও ও চারটি ওয়াটার মনিটর লিজার্ড।’
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন শহরে প্রায় ৪০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা। দক্ষিণ ভারতে আরও অন্তত দু-তিন ডিগ্রি বেশি। তার ফলে অত্যন্ত সতর্ক হয়ে এই প্রাণীদের কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রায় ৯০০ কিলোমিটার সড়ক পথে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সবকটি প্রাণী শহরে এসেছে এসি গাড়িতে। গাড়িতে ছিলেন একজন চিকিৎসক। কোনও প্রাণী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার জন্য ছিল আপৎকালীন ব্যবস্থা। যদিও যাত্রাপথে কোনও সমস্যা হয়নি। অন্ধ্র থেকে কলকাতায় আবহাওয়া অনেকটা আলাদা। সে কারণে প্রাণীগুলিকে কয়েকদিন চিকিৎসকদের নজরদারিতে রাখা হবে। তাঁদের খাওয়ার জন্যও তৈরি হচ্ছে বিশেষ খাদ্যতালিকা। তারপর তারা দেখা দেবে। তখন টিকিট কেটে ঢুকলে দেখা যাবে সাদা বাঘ।