বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বনমালির সঙ্গে তাঁরই জেঠতুতো ভাই মথুরা হালদারদের দীর্ঘদিন ধরে একটি জমি নিয়ে বিবাদ চলছে। সেই বিবাদ গত কয়েকদিন ধরেই সেই বিবাদ চরমে উঠেছিল। রবিবার সকালেও দু’পক্ষ বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। তবে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় তা মিটে যায়। অভিযোগ, রবিবার রাতে বনমালি যখন বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন, সেই সময় অভিযুক্ত মথুরা ও তার লোকজন তাঁকে বাইরে ডাকে। বনমালি বাইরে বেরতেই তাঁকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে অভিযুক্তরা। তারপর পুরুষাঙ্গ কেটে উঠোনে ঝুলিয়ে দিয়ে চম্পট দেয়। মৃতের স্ত্রী সুমিতাদেবীর কথায়, ভোররাতে ঘুম ভাঙার পর স্বামীকে পাশে না পেয়ে ডাকাডাকি করেন তিনি। কারণ, স্বামীর সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি বাইরে বেরিয়ে আসেন। তিনি দেখেন বাড়ির উঠোনে স্বামীর দেহ পড়ে রয়েছে। ঘরের টালির চালার সঙ্গে ওড়না দিয়ে কাটা পুরুষাঙ্গটি ঝোলানো। তিনি চিৎকার চেঁচামেচি করতে ছুটে আসেন তাঁর পড়শিরা। পরে খবর পেয়ে পুলিস গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে খুঁচিতলা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। রবিবার দুপুরে সুমিতা হালদার জীবনতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস দেহটি জীবনতলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। সুমিতা হালদার বলেন, জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে ওরা যে আমার স্বামীকে এভাবে খুন করবে, তা ভাবতেও পারিনি। যারা আমার স্বামীকে খুন করেছে তাদের কঠোর সাজা হোক। পুলিস জানিয়েছে, পড়শি এবং মৃতের স্ত্রীয়ের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। তদন্তকারীদের একাংশের কথায়, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বনমালিকে ডেকে নিয়ে বাইরে নিয়ে এলেও কেন তাঁর স্ত্রী বুঝতে পারলেন না, সেটাও সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, খুন যেভাবে করা হয়েছে, তাতে এর পিছনে অন্য কোনও কারণও থাকতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।