কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
শনিবার রাতের কথোপকথনের পর হোমের কর্তারা অশোক দে এবং ক্লাবের অন্যতম কর্তা মনোজ সাউয়ের কাছে ওই যুবকের একটি ছবি পাঠান। সেই ছবি নিয়ে ওই দু’জন কলকাতা পুরসভার ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাতৃসদনের আশপাশের এলাকায় খোঁজ করতে শুরু করেন। সেখানে ওই যুবকের ছবি প্রত্যেককে দেখানো হয়। এক যুবক তা দেখে জানান, ছবির যুবকটি তাঁর মাসতুতো ভাই। সাত বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিল। জানা যায়, যুবকের নাম কাল্লু খাবরিওয়াল। বাবার নাম গোপী খাবরিওয়াল। পেশায় হকার। চন্দ্র মণ্ডল লেনের বাসিন্দা। ছেলের ছবি দেখাতেই ওই ব্যক্তি ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, সাত বছর আগে ঘর থেকে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কোথায় চলে যায়। থানায় খবর দিয়েছিলাম। আমরাও খুঁজেছিলাম। কিন্তু ছেলেকে পাইনি। মৃগী রোগ থাকায় ছেলেকে সামলে রাখতাম।
এর আগেও ওই যুবক বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। বেশ কয়েকমাস পর তিনি বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা কলকাতা দক্ষিণের সাংসদ মালা রায়ের কথায়, গোপী খাবরিওয়ালের পক্ষে কেরলে গিয়ে ছেলেকে নিয়ে আসার মতো আর্থিক ক্ষমতা নেই। তাই টাকার ব্যবস্থা করে ওই ব্যক্তি এবং পড়াশোনা জানা এক যুবককে রবিবার রাতে কেরলে পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৫ আগস্ট ওই হোমের তরফে অনুষ্ঠান করে যুবকটিকে তাঁর বাবার হাতে তুলে দেওয়া হবে। অশোকবাবু জানান, বাড়ির ছেলে বাড়িতে ফিরে আসুক, এটা প্রত্যেকেই চান। তবে কেরল সরকারের ওই হোম কর্তৃপক্ষ যেভাবে চিকিৎসা করিয়ে কাল্লুকে সুস্থ করে তুলেছে, সেটাও ভুললে চলবে না।