Bartaman Patrika
ধনতেরস ১৪৩১
 

কালীপুজোয় বামদেবের প্রিয় মন্দিরগুলিতে কীভাবে পুজো হয়?

তারামায়ের কাছে সারাবছরই ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে। তবুও কালীপুজোয় ভিড় যেন জোয়ারের মতো রামপুরহাট থেকে তারাপীঠমুখী হয়ে ওঠে। সর্বত্রই তারাধ্বনিতে মুখরিত হয়ে গোটা তারাপীঠ ও সন্নিহিত অঞ্চল। বামদেবের সাধনপীঠ মা তারার মন্দির ও শ্মশানক্ষেত্র ছাড়াও তারাতনয় বামদেবের অবাধ গতিবিধি ছিল স্থানীয় বিভিন্ন কালী মন্দিরে। দীপান্বিতা অমাবস্যায় মায়ের বিভিন্ন পার্থিব রূপ দেখতে তিনি বেরিয়ে পড়তেন সেইসব স্থানে। মাতৃদর্শনে এক এক রকম ভাবে আত্মহারা হয়ে অবস্থান করতেন সেখানে।  কখনও থাকতেন মৌন, কখনও হাস্যলাস্যে ভরপুর, কখনওবা ‘মা’য়ে পো’য়ে খুনসুটিতে ভবের হাটে গড়াগড়ি!’ কখনও কখনও উন্মত্তের মতো আচরণ! ভাগ্যবান সেই সব মানুষ যাঁরা সেসব দিব্যদর্শনের সাক্ষী থেকেছেন। 
তাই আজও যেন কালীপুজোয় তারাপীঠ হয়ে ওঠে ভাব-ভক্তি-ত্যাগ-বৈরাগ্যের অমরাবতী। আমরাও সেই অতীতকীর্তির সাক্ষ্যবাহী পূণ্য সফরে বেড়িয়ে আসি।
উদয়পুর গ্রামে কালীবাড়ি
তারাপীঠের খুব কাছেই উদয়পুর গ্রামে হয় প্রাচীন এই কালীপুজো। আয়োজক তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েতরা। বংশপরম্পরায় তাঁরা বার্ষিক ও মানসিক পুজো করে আসছেন। কথিত আছে, কালীপুজোর দিন সারারাত বামদেব মা তারার পুজো করে পরদিন ভোরবেলায় চলে আসতেন উদয়পুরে। সেখানে আগে মায়ের পুজো করতেন। তারপর তিনি অন্নজল মুখে দিতেন। এখানে শিশুভাবে তিনি মায়ের সঙ্গে রঙ্গরসিকতা করতেন। নানান বায়না করতেন। মায়ের ভোগ দিলে তাঁকে খাইয়ে। পানদোক্তা জোগাড় করে ফিরে আসতেন। অন্য সময় বেদিতে পুজো হলেও কালীপুজোর দিন ঠিক রাত ১২টায় উদয়পুর কালীমন্দিরে কালীমূর্তি এনে রাতভর মায়ের পুজো হয়। মন্দিরের সামনেই দিঘি। একসময় এই মন্দিরে এত বলি হতো যে বলির রক্তে দিঘির জল লাল হয়ে যেত। এখনও বলি হয়, তবে তা সংখ্যায় আগের তুলনায় অনেক কম। পুজো উপলক্ষ্যে এখানে মেলা বসে। ছোট মন্দির কিন্তু পরিবেশটি বড়। 
প্রাচীন রীতি মেনে তারাপীঠ মন্দিরের পূজারিরা রাতে মায়ের পুজো সেরে অন্নভোগ মুখে না দিয়েই চলে যান উদয়পুর কালীবাড়িতে। পরদিন সেখানে মায়ের পুজো দিয়ে প্রসাদ খেয়ে সারাদিন আনন্দ করে কাটান। সন্ধেবেলায় ফিরে আসেন তারাপীঠে। উদয়পুর গ্রাম তারাপীঠ মন্দির থেকে মাত্র তিন কিমি।
আটলা গ্রামের শ্যামাকালীর থান
বামদেবের পিতা সর্বানন্দ, মাতা রাজকুমারী দেবী ও দিদি জয়কালীর ভালোবাসার মাধুর্যে সিঞ্চিত হয়ে শিশু বামাচরণ তিলে তিলে বড় হচ্ছেন। সর্বানন্দ আত্মভোলা, সংসারের বিষয় আশয় সম্পর্কে উদাসীন। সময় পেলেই তিনি গ্রামের সিদ্ধস্থান কালীতলার শ্যামাকালীর থানে গিয়ে চুপটি করে বসে থাকেন। শ্যামাকালীর থানে বসে বড় শান্তি পান তিনি। তাঁর সামান্য জমি-জমা থেকে চাষবাস করে যেটুকু আয় হয় তা দিয়ে তিনি সংসার চালাবার চেষ্টা করতেন। কিন্তু সংসার তাতে চলতে চায় না। তবু সদানন্দ এই ব্যাপারে একেবারেই নির্বিকার ছিলেন। আটলা গ্রামের কালীতলায় গিয়ে শ্যামাকালীর চরণে বসলেই সব চিন্তার অবসান হতো। তাই সুযোগ পেলেই প্রাণভরে বেহালা বাজিয়ে সজল নয়নে গান শোনাতেন মাকালীকে। বড় মেয়ে জয়কালী ও বড়ছেলে বামাকেও কখনও কখনও সঙ্গে করে নিয়ে যান কালীতলায়। এই কালীই বর্তমানে আটলার খ্যাপাকালী নামে প্রসিদ্ধ। তারাপীঠে যাঁরা আসেন, তাঁরা অনেকেই বামদেবের জন্মস্থান দর্শন করতে আটলায় যান। খ্যাপাকালী মন্দিরটি আটলা গ্রামেই। বামদেবের জন্মভূমি ছাড়িয়ে আরও কিছুটা গেলে বাঁদিকে পড়ে। গ্রামের শেষ মাথায় একটি বটগাছের নীচে পাকা বেদির সামনে শিলামূর্তিতে আঁকা রয়েছে মায়ের মুখমণ্ডল। বেদির সামনে নাটমন্দির ও হাড়িকাঠ। মাঘ মাসের অমাবস্যার দিন পুজো উপলক্ষ্যে নীল রঙের প্রায় আট ফুট উচ্চতার মূর্তি এনে আরাধনা করা হয়। সেই সময়ে প্রায় দেড়শো থেকে দুশো ছাগ বলি হয়ে থাকে। এছাড়াও প্রতি মঙ্গল ও শনিবার মানতের বলিদান হয়। গ্রামের ভিতরে সেবায়েত ভট্টাচার্য পরিবারের বাসস্থান। একসময় খ্যাপাকালীর বেদির উপর একটি বটের ডাল সারাবছরই বেদি স্পর্শ করে থাকত। কিন্তু মায়ের বার্ষিক পুজোর দিন ওই বটের ডালটি সকাল থেকেই ক্রমশ উপরে উঠতে শুরু করত। এবং পুজোর আগে প্রায় আট থেকে দশ ফুট উঁচুতে উঠে যেত। কিন্তু অবাক করা কাণ্ড হল প্রতিমা বিসর্জনের পর পুনরায় পূর্বাবস্থায় ফিরে আসত বটের সেই মোটা ডালটি। তবে সেই ডালটি এখন আর নেই। ২০০৭ সালে মায়ের পাকা মন্দির হওয়ার পর ডালটি আপনা থেকেই ভেঙে যায়। 
ঐতিহ্যময় মন্দিরটিও বামদেবের বড় প্রিয় ছিল। বলতে গেলে এখান থেকেই তাঁর সাধন জগতের হাতেখড়ি। খ্যাপাকালী মন্দিরে কার্তিক মাসের কালীপুজোর রাতে গোপনে অনুষ্ঠিত হয় তান্ত্রিক ভৈরবী চক্রানুষ্ঠান। তন্ত্রমতে, এই ক্রিয়াকলাপ অত্যন্ত গোপনীয় এবং সেই সঙ্গে অতি পবিত্র। এতে সিদ্ধ বীরাচারী সাধকরাই কেবল অংশগ্রহণ করতে সক্ষম। তন্ত্রসিদ্ধ মহাপুরুষ খাঁকিবাবা, বামাখ্যাপা, সিদ্ধভৈরব অঘোরী বাবা, গুহাবাবা, ব্রহ্মানন্দ সরস্বতী প্রমুখ সাধক মানব কল্যাণের জন্য তারাপীঠ ও বক্রেশ্বরে এই চক্রানুষ্ঠান করতেন। এই মন্দির ও তার সংলগ্নস্থানে বেশ কিছু কুকুরের দেখা পাওয়া যায়। এদেরকে কেউ মারে না, তাড়ায়ও না। এরা সব ভৈরব। তাই দর্শনার্থীরা এই সারমেয়দের খাবার দিয়ে তৃপ্ত করে।
আকালীপুরের গুহ্যকালী 
মন্দিরে অধিষ্ঠিত মহারাজ নন্দকুমার প্রতিষ্ঠিত বিরল দর্শন দ্বিভুজা গুহ্যকালী বিগ্রহ। এই কালীমূর্তির মতো মূর্তি আর কোথাও দেখা যায় না। যেমনই ভীষণা তেমনই ভয়ঙ্কর দর্শনা। এই দেবীমূর্তির সঙ্গে জড়িয়ে আছে মহাভারতের জরাসন্ধ, বিদেশি শাসক ওয়ারেন হেস্টিংস, কাশীর রাজা চৈত সিং ও মাতৃসাধক বামাখ্যাপার নাম। অতীতে দেবী মগধরাজ জরাসন্ধের পূজিতা গৃহদেবী ছিলেন। পরবর্তীকালে কাশীরাজ চৈত সিংয়ের রাজমন্দিরে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। তারপর ইংরেজ শাসনকালে ওয়ারেন হেস্টিংসের সময় কাশী আক্রান্ত হলে এই দেবীকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। এই খবর বিশ্বস্ত কর্মচারীর কাছ থেকে শোনা মাত্র কাশীরাজ বিলম্ব না করে দশাশ্বমেধ ঘাটের কাছে একটি গোপন স্থানে দেবীকে লুকিয়ে রাখেন। পরবর্তীকালে মহারাজ নন্দকুমার দেবীর স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে মাতৃমূর্তি উদ্ধার করে জলপথে নৌকা করে ব্রাহ্মণী নদী দিয়ে তাঁর নিজ জন্মভূমি ভদ্রপুরে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। সেই সময় সম্ভবত গঙ্গার সঙ্গে ব্রাহ্মণী নদীর সংযোগ ছিল। নৌকা করে ব্রাহ্মণী নদী দিয়ে আসার সময় মহারাজ নন্দকুমার লক্ষ করেন যে, নৌকাটি তাঁর গ্রাম ভদ্রপুরে না থেমে দ্রুতগতিতে সামনের দিকে ভেসে আকালীপুরের অরণ্যবেষ্টিত শ্মশানঘাটের কাছে এসে আপনা আপনিই থেমে যায়। মহারাজা বুঝলেন, এখানেই অবস্থান করা দেবীর ইচ্ছা। তখন তিনি শ্মশানের পাশে পঞ্চমুণ্ডির বেদি স্থাপন করে দেবীকে প্রতিষ্ঠা করেন। রামপুরহাট-নলহাটি রাস্তার নাগোরা মোড় থেকে আকালীপুর মাত্র ৫ কিমি। 
ব্রাহ্মণী নদীর তীরে আকালীপুর গুহ্যকালীর দেবীমূর্তি নানান কিংবদন্তিতে পূর্ণ। অষ্টকোণ বিশিষ্ট মন্দিরে দেবীর অবস্থান। গর্ভমন্দিরের তিনটি দরজা। দক্ষিণ দিকের দরজাই প্রধান। এছাড়া পূর্ব-পশ্চিমদিকে আরও দু’টি দরজা রয়েছে। দেবীর বিগ্রহ তিনটি প্রবেশদ্বার দিয়েই দেখা যায়। দেবী পঞ্চমুণ্ডির আসনের উপর নাগের মস্তকে বিরাজ করছেন।
দেবীর কালো অঙ্গে সর্পের অলঙ্কারের ছড়াছড়ি। দু’টি কর্ণে অলঙ্কার রূপে রয়েছে দুটি শব শিশু। মস্তকে সহস্র নাগের কিরীট। বাঁ কাঁধে সর্পের যজ্ঞোপবীত। দুই হাতে সর্পবলয় ও কোমরে সাপের কোমরবন্ধনী। অন্যান্য কালীমূর্তির সঙ্গে একটিই মিল খুঁজে পাওয়া যায়, সেটি হল এই দেবীর গলায়ও রয়েছে নৃমুণ্ডমালার সঙ্গে রক্তজবার মালা। দেবী ত্রিনয়না, করালবদনা,  লোলজিহ্বাময়ী ও ভয়ঙ্করী। দেবীর দু’টি হাতই বরাভয় মুদ্রায় রয়েছে। চোখগুলি দীর্ঘায়তা। আকালী কালীকে যেকোনও দিক থেকেই দর্শন করা যাক না কেন মনে হবে দেবী যেন তার দিকেই বিস্ফারিত নেত্রে তাকিয়ে আছেন।
মন্দির থেকে মাত্র ৬০-৭০ হাত দূরে আকালীপুরের প্রাচীন শ্মশানক্ষেত্র, তারপরেই নদী। গ্রামের নামের সঙ্গে দেবী বিগ্রহের নামটিও আকালী কালী। সাধক বামাখ্যাপা মাঝেমধ্যেই এখানে এসে মাকে দর্শন করে তাঁর সঙ্গে রহস্যময় আলাপ করতেন। যেমন বলতেন, ‘কীরে বেদের বেটি, কেমন আছিস?’ তিনি আকালীকালীকে বেদের মেয়ে নামেই সম্বোধন করতেন। তবে তিনি কখনওই এখানে কিছু মুখে দিতেন না এবং রাত্রিবাস করতেন না। মায়ের সঙ্গে কথা বলতে বলতে রাত গভীর হলেও সেই রাতেই তিনি পায়ে হেঁটে ফিরে যেতেন বত্রিশ কিমি দূরবর্তী তারাপীঠে।
 সহযোগিতায় : সুব্রত মাজী, চন্দন পাল,
বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, দেবনাথ দাস
29th  October, 2024
কালীপুজোর রাতে দক্ষিণেশ্বর ও তারাপীঠ মন্দির
সুমন গুপ্ত

দীপান্বিতা কালীপুজোর মহানিশা। উত্তরবাহিনী গঙ্গার একটানা কুলুকুলু ধ্বনিতে যেন মাতৃবন্দনা! দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে মা ভবতারিণীর সামনে পূজারির আসনে উপবিষ্ট ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। ধূপ-ধুনোর গন্ধ। বিশাল প্রাঙ্গণ জুড়ে প্রদীপের আলোর আলপনা। বিশদ

29th  October, 2024
গুসকরার রটন্তী কালী
শংকরলাল সরকার

একদিকে দামোদর অন্যদিকে অজয়। গুসকরাকে বলা যায় নদের শহর। এই শহরকে বুকে ধরে রেখেছে অজয়ের শাখানদী কুনুর। বর্ধমান জেলার ঐতিহাসিক শহর গুসকরা। সমস্ত মঙ্গলকাব্য জুড়ে শহরের আনাগোনা। বিশু ডাকাতের কর্মস্থল ছিল গুসকরা। বিশদ

29th  October, 2024
গ্রামবাংলার বিচিত্র নামের কালী

প্রাচীনকাল থেকেই বাংলায় শক্তি সাধনার প্রসার ঘটেছিল। শক্তির উপাসনার সুপ্রাচীন ঐতিহ্যকে বহন করে বাংলায় আজও দেবী কালীর আরাধনা করা হয়।  প্রতি পাড়ায় পাড়ায় ছড়িয়ে আছে অসংখ্য কালী মন্দির। বাংলার নানান জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সেই কালী মূর্তিগুলির কিছু অদ্ভুত নাম লক্ষ করা যায়।   বিশদ

29th  October, 2024
তারকাদের ধনতেরস

প্রতিবছর সময় ধরে, রীতি মেনে ধনতেরসে যেকোনও একটা ধাতু কিনতেই হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা আমার নেই। কখনও কখনও সময়, ইচ্ছে, সুযোগ ম্যাচ করে গেলে কেনা হয়ে যায়, এই আর কী। যদি কিনি তাহলে হয় সোনা কিংবা রুপোর গয়নাই আমার প্রথম পছন্দের। বিশদ

29th  October, 2024
আদিরূপা কালী 
সোমব্রত সরকার

ভয়ঙ্কর সময়ের মধ্যে দিয়েই মানুষ চলেছে বলেই কালীমূর্তি ভয়ঙ্করা। সাধক বলেন, মায়ের পেছনের পা হল মানুষের অতীত আর সামনের পা ভবিষ্যৎ। দুটো পায়ের মাঝখানে নানা সমস্যাসঙ্কুল-উৎকণ্ঠা-ভয়ই প্রকাশিত হচ্ছে। বিশদ

29th  October, 2024
আকাশ প্রদীপ বাংলা লোকসংস্কৃতির এক লুপ্ত অধ্যায়
দেবেশ মজুমদার

মফস্‌সলের শেষ প্রান্তে তখন অধিকাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। দিনের শেষে হ্যারিকেনের আলোই ছিল ভরসা। দুর্গোৎসবের সময় ঝলমলে রংবেরঙের লাইটগুলো দেখে চেনা জায়গাটা অচেনা হয়ে যেত। উৎসবের সেই দিনগুলো নিমেষে পেরিয়ে যেতেই একরাশ মনখারাপ জড়িয়ে ধরত। বিশদ

29th  October, 2024
কেনাকাটার শুভক্ষণ
সুনীতি বন্দ্যোপাধ্যায়

ধনতেরস বা ধন ত্রয়োদশী হল ভারতের অধিকাংশ স্থানে উদ্‌যাপিত দীপাবলি উৎসবের প্রথম দিন। এই দিনটি হিন্দু পঞ্জিকা মতে আশ্বিন বা কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে পালিত হয়।  বিশদ

29th  October, 2024
একনজরে
ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগায় ট্রেন দুর্ঘটনা মামলায় তিন রেলকর্মীকে জামিন দিল ওড়িশা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি আদিত্যকুমার মহাপাত্রের বেঞ্চ। ...

সংবিধানের ৭৫ বছর উদযাপনে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ জোরালো করবে তৃণমূল। বিজেপির শাসনকালে সংবিধানের উপর বারবার আঘাত আসছে, এই অভিযোগ তুলে বিজেপিকে নিশানা করবেন তৃণমূলের নেতারা। এমনই খবর মিলেছে জোড়াফুল শিবির থেকে। ...

মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে তদারকি সরকার গঠনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা বেড়েছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় আক্রান্তরাও একত্রিত হতে শুরু করেছে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ইসকনের অন্যতম সংগঠক চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি ঘিরে। ...

ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কোচিং সেন্টারের অঙ্কের শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান মহিলা থানার পুলিস। ধৃতের নাম শুভব্রত দত্ত। বীরভূমের সাঁইথিয়া থানা এলাকায় তার আদি বাড়ি। বর্তমানে সে বর্ধমান শহরের শাঁখারিপুকুর এলাকায় বরফকলের কাছে থাকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ভেগান দিবস
১৫১২: সিস্টিন চ্যাপেল এর ছাদের চিত্রাঙ্কন যা মাইকেলেঞ্জেলো এঁকেছেন, জনগনের জন্য প্রথমবারের মত উম্মুক্ত করে দেয়া হয়
১৬০৪: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এর ট্রাজেডী ওথেলো প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৬১১: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার রোম্যান্টিক কমেডি টেমপেস্ট প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৮০০: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস হলেন দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি দি এক্সিকিউটিভ ম্যানসন এ থাকা শুরু করেন (পরবর্তীকালে যার নাম হয় হোয়াইট হাউস)
১৮৫৮: ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে ভারতের শাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে
১৮৬৪: পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রথম মানি অর্ডার পদ্ধতি চালু
১৮৭৩: নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্রের মৃত্যু
১৮৮০: কলকাতায় প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম চলাচল শুরু
১৯১৫: বাংলা ক্রিকেটের জনক সারদারঞ্জন রায়ের জন্ম
১৯৫০: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৫০: নোবেল জয়ী পদার্থবিদ রবার্ট লাফলিনের জন্ম
১৯৫৬: বাংলা ভাষা আন্দোলন (মানভূম) এর ফলস্বরূপ মানভূমের একটা অংশ পশ্চিমবঙ্গের সাথে যুক্ত হয় পুরুলিয়া জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে
১৯৫৬: ভারতে রাজ্য পুনর্গঠন আইন, ১৯৫৬ মোতাবেক মহীশূর রাজ্য বর্তমানে কর্নাটক, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের আত্মপ্রকাশ ও পুনর্গঠন হয়
১৯৭৩: মহীশূর রা্জ্যের নাম বদলে কর্ণাটক হয়
১৯৭৩: অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের জন্ম
১৯৭৪: ক্রিকেটার ভি ভি এস লক্ষ্মণের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬১ টাকা ৮৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৫২ টাকা ১১০.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৯৯ টাকা ৯২.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা ৩১/২০ রাত্রি ৬/১৭। স্বাতী নক্ষত্র ৫৪/২৫ রাত্রি ৩/৩১। সূর্যোদয় ৫/৪৪/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৭/১৪ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৪১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৭ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৮ গতে ৯/৪৪ মধ্যে। 
১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা সন্ধ্যা ৫/৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৩/২৬। সূর্যোদয় ৫/৪৬, সূর্যাস্ত ৪/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৭/২৭ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৩৯ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৫০ গতে ৩/২২ মধ্যে ও ৪/১৫ গতে ৫/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
২৮ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রয়াত জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার রোহিত বল

11:39:32 PM

মুম্বইয়ের গোরেগাঁওতে একটি বহুতলে অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন

10:47:00 PM

হরিয়ানার রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়ার সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি

10:25:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সাদাতগঞ্জে একটি কারখানায় আগুন, অকুস্থলে দমকল

10:08:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরের মারগানা জঙ্গলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

09:48:00 PM

দিল্লির রঘুবারপুরায় একটি আবাসনে আগুন, অকুস্থলে দমকল

09:32:00 PM