প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
আনুষ্ঠানিক নাম ধনতেরস অন্য নাম ধন ত্রয়োদশী।
ধন্বন্তরিকে আয়ুর্বেদের দেবতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁকে এই উপলক্ষ্যে পুজো করা হয়। তিনি মানুষকে রোগ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে আয়ুর্বেদের জ্ঞান প্রদান করেছিলেন।
ধন্বন্তরি সমুদ্রমন্থনের সময় আবির্ভূত হন। তিনি এক হাতে অমৃত পাত্র এবং অন্য হাতে আয়ুর্বেদ সম্পর্কিত পবিত্র বই ধারণ করেন। তাঁকে বলা হয় দেবতাদের বৈদ্য।
উৎসবটিতে লক্ষ্মীপুজোও হয়। মহারাষ্ট্রে গুড়ের সঙ্গে শুকনো ধানের মিশ্রণ তৈরি করে উপচার হিসাবে দেওয়া হয়। চালের গুঁড়ো ও সিঁদুর দিয়ে ছোট ছোট লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ সারা গৃহে আঁকা হয়, যাতে দেবী লক্ষ্মীর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আগমন বোঝা যায়। ধনতেরসের রাতে লক্ষ্মী ও ধন্বন্তরির সামনে প্রদীপ সারারাত জ্বালিয়ে রাখা হয়। হিন্দুরা এই দিনটিতে কেনাকাটা করে। সোনা রুপোর গহনা কেনা অত্যন্ত শুভ। দেবদেবীর মূর্তি ঘরে নিয়ে আসা সৌভাগ্যের লক্ষণ। এছাড়াও রান্নাঘরের ও ঠাকুরের জিনিস যেমন বাসন, প্রদীপ, ঘণ্টা, গামলা, ঘটি, যন্ত্রপাতি, গাড়ি, ইলেক্ট্রনিক্স দ্রব্যাদি ইত্যাদি কেনা অত্যন্ত শুভ। ঘরের দরজার সামনে প্রদীপ প্রজ্বলিত করা হয়। এই প্রদীপ অকাল মৃত্যু এড়াতে দীপাবলির উৎসবের দিন যমের কাছে অর্ঘ্য হিসাবে প্রদান করা হয়। এদিন চাষিরা গৃহের গবাদি পশুর বিশেষ যত্ন ও পুজো করে থাকেন।
ত্রিদোষের প্রতিকার হেতু দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে নরকা চতুর্দশীতে সূর্যোদয়ের আগে বাড়ির মেয়ে জামাইকে মারাণ্ডু খাওয়ানোর রীতি দেখতে পাওয়া যায়। গুজরাতিরা এই দিন নতুন বছরের শুভারম্ভ হিসাবে মালপোয়া তৈরি করেন। এই শুভক্ষণে সমুদ্রমন্থনের সময় দেবী লক্ষ্মী স্বয়ং দুধসায়র থেকে আবির্ভূত হয়েছিলেন বলেই এই দিন দেবী লক্ষ্মীর পুজো করা হয়। যেহেতু লক্ষ্মী ধনের দেবী সেইজন্য এই ধন রক্ষা করার জন্য কুবেরেরও পুজো হয়।
কিংবদন্তি অনুসারে, রাজা হিমের ১৬ বছর বয়সি পুত্রের বিবাহের চতুর্থ দিনে সাপের কামড়ের মৃত্যুর পূর্বাভাস ছিল। সেই দিন নববধূ তাঁর সমস্ত অলঙ্কার, মুদ্রা, সোনার গহনা শয়নকক্ষে দরজার সামনে জড়ো করে রেখেছিলেন। যমরাজ সাপের ছদ্মবেশে রাজকুমারের দরজার সামনে আসেন কিন্তু প্রদীপ ও গয়নার উজ্জ্বল আলোকে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। ফলে যমরাজ কিছু দেখতে না পেয়ে নিঃশব্দে সেখান থেকে বিদায় নেন। নববধূর বুদ্ধিতে যুবরাজ মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান। সেইজন্য এই প্রদীপকে ‘যমদীপ’ বলা হয়। উত্তর ভারতে এই দিনটি ছোটা দেওয়ালি নামে খ্যাত।
জৈন মতে, ৫২৭ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে মহাবীর নির্বাণ লাভ করেছিলেন এই দিনে।
হিন্দুরা এদিন গৃহে প্রদীপ জ্বালান, দীপাবলির অর্থ প্রদীপের সমষ্টি, প্রদীপের আলোয় স্বর্গের দেবতাদের গৃহে বরণ করে নেওয়া হয়। নতুন পোশাক, মিষ্টি পরিবার ও বন্ধুদের মধ্যে দানের প্রচলন আছে।
এইদিনে শ্রীরামচন্দ্র ১৪ বছর বনবাসের পর অযোধ্যায় ফিরে আসেন। অযোধ্যাবাসী তাদের প্রিয় রাজাকে ফিরে পেয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে রামচন্দ্রকে বরণ করেছিলেন।
১৬১৯ খ্রিস্টাব্দের ষষ্ঠ শিখগুরু হরগোবিন্দ ও তাঁর ৫২ জন অনুগামী মুক্তি পেয়েছিলেন বলে শিখরাও এই দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদাসহ পালন করেন। আর্য সমাজের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর এই দিন মহাপ্রয়াণ ঘটেছিল।
আশ্বিন মাসের কৃষ্ণ ত্রয়োদশীর দিন ধনতেরসের মাধ্যমে দীপাবলির উৎসবের সূচনা আর কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উৎসবটি শেষ হয়। নবরাত্রি উৎসব (দুর্গোৎসব) শেষ হওয়ার ১৮ দিন পর দীপাবলির উৎসব শুরু হয়। দীপাবলির উৎসব ভারতীয় ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের অর্থ বর্ষের সূচনা। এবার ধনতেরস পড়েছে বাংলা ১৪৩১ সালের ১২ কার্তিক। ইংরেজি ২৯ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার। দ্বিতীয় দিন ১৩ কার্তিক ১৪৩১, ইংরেজি ৩০ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার ভূতচতুর্দশী হিসাবে পালন করা হয়। বাঙালিরা বাড়িতে ১৪ ফোঁটা ও ১৪ প্রদীপ জ্বালান। বাড়ি আলোকিত করেন।
চতুর্দশ দীপ দানের মন্ত্র—
নমঃ পিতৃভ্য প্রেতেভ্যো নমো ধর্মায় বিষ্ণবে।
নমো ধুম্রায় রুদ্রায় কান্তারপাতয়ে নমঃ।।
তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার ১৪ কার্তিক ১৪৩১ ইংরেজি ৩১ অক্টোবর ২০২৪। কার্তিক অমাবস্যার দিন উত্তর ভারতে যখন লক্ষ্মীর পুজো হয় বাংলায় তখন কালী পুজোর উৎসব পালিত হয়। পশ্চিমবঙ্গবাসী বাড়িতে অলক্ষ্মীর বিদায় করে লক্ষ্মী পুজো করেন। পূর্ববঙ্গীয়দের এই নিয়ম নেই।
চতুর্থ দিন ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ইংরেজি ১ নভেম্বর ২০২৪। শুক্রবার শুক্লা প্রতিপদ— এই দিন গোবর্ধন পুজো হয়।
পঞ্চম দিন অর্থাৎ শনিবার ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ইংরেজি ২ নভেম্বর ২০২৪ সাল। ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা, উৎসবের শেষ দিন। যদিও এবছর শনিবার রাতে দ্বিতীয়া তিথি পড়ায় রবিবার ভাইফোঁটা পালিত হবে। পুরাণ অনুযায়ী, এই দিন যমুনা তাঁর ভাই যমকে ফোঁটা দিয়েছিলেন। আবার অন্য মতে, নরকাসুর নামে দৈত্যকে বধ করার জন্য কৃষ্ণ তাঁর বোন সুভদ্রার কাছে ফোঁটা (বিজয় তিলক) নিয়েছিলেন।
এবছর ধনতেরসের পুজোর শুভ মুহূর্ত সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। এই সময়ে লক্ষ্মী, কুবের ও বিষ্ণুর পুজো করার শুভ সময়। এদিন বিমা কিনতে পারেন। এতে বিনিয়োগ ছাড়াও পরিবারের ভবিষ্যৎকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। বাড়ি কেনার জন্য ধনতেরস সবথেকে ভালো দিন। ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিসে ফিক্স ডিপোজিট বা রিয়েল এস্টেট- এর কথাও ভাবতে পারেন।
শখের গাড়ির জন্য অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন। অনেকে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন। ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যাদি কেনাতে ক্রেতাকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দিতে পারে।
তবে অ্যালুমিনিয়ামের পাত্র, ছুরি, কাঁচি, প্লাস্টিক ও কাচের পাত্র কিনতে নেই। এগুলিকে অশুভ মনে করা হয়।
উৎসবের দিন তেল বা ঘি না কেনার চেষ্টা করুন।
তবে নুন, ঝাঁটা, কাঁচা হলুদ, ধনে, রুদ্রাক্ষের মালা ও সাতমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ অত্যন্ত শুভ। স্ফটিক, পদ্মবীজের মালা, কড়ি, দক্ষিণাবর্ত শঙ্খ কিনে ঘরে আনা অত্যন্ত শুভ।
বাড়ির দক্ষিণ দিকে মুখ করে প্রদীপ জ্বালান। এই প্রথাটি পরিবারের অকাল মৃত্যু এড়াতে সাহায্য করে। প্রদীপের চারটে মুখ থাকবে। চারদিকে চারটে সলতে দিয়ে প্রদীপটাকে ধরাবেন, কিছুটা গম রেখে তার ওপর প্রদীপটা জ্বালাবেন।
এদিন লাল, হলুদ, কমলা রঙের পোশাক পরুন, কালো পোশাক এড়িয়ে চলুন। চুল না কাটাই বাঞ্ছনীয়। নেশার দ্রব্য, পেঁয়াজ, রসুন এড়িয়ে চলুন। নিরামিষ আহার করুন।
এ বছর ত্রয়োদশী তিথি শুরু হবে মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫৭ মিনিটে। শেষ হবে পরদিন বুধবার দুপুর ১টা ১ মিনিটে।
যমদীপ দানের শুভ সময় মঙ্গলবার রাত ১০টা ৩০মিনিট থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত।
কেনাকাটার শুভ মুহূর্ত— ২৯ অক্টোবর সকাল ৭টা ১৩ মিনিট থেকে ১০টা ৫৮ পর্যন্ত। তবে দুপুর ১২টা ৪৪ মিনিট থেকে দুপুর ২টো ৮ মিনিট পর্যন্ত বারবেলা থাকবে। এই সময়ে কোনও জিনিস কিনতে নেই।
আবার দুপুর ২টো ১০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৩৪ মিনিট পর্যন্ত। ফের সন্ধে ৭টা ৩০ মিনিট থেকে ৮টা ২২-এর মধ্যে, আবার রাত ৯টা ১৩ মিনিট থেকে রাত ১১টা ৪৬ মিনিটের মধ্যে। তবে কালরাত্রি থাকবে
রাত্রি ৬টা ৩৩ মিনিট থেকে ৮টা ৯ মিনিট অবধি।
বুধবার, সকাল ১০টা ১৩ মিনিট থেকে ১২টা ২৮ মিনিটের মধ্যে, আবার বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিট থেকে ৬টা ৩৯ মিনিটের মধ্যে। আবার রাত ৮টা ২২ মিনিট থেকে পরদিন সকাল ৮টা ৩২ থেকে ৯টা থেকে ৫৬ মিনিট। ১১টা থেকে ২০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৪৪ মিনিট পর্যন্ত বারবেলা।
এই দিন সকল প্রকার ধার দেওয়া/ নেওয়া বন্ধ রাখুন। দান না করতে পারলে ভালো সন্ধের পর ঘর ঝাঁট বা মোছামুছি করা অনুচিত। কাউকে নুন, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন দেবেন না। এতে অশুভ শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
বাসন ও অলঙ্কার ধার দেওয়া-নেওয়াও করবেন না। সন্ধের পর ঘরে কোনও এঁটো বাসনও রাখবেন না।
মা লক্ষ্মী, গণেশ, কুবেরজির মূর্তি বা ছবি দক্ষিণাবর্ত শঙ্খ, পদ্মবীজের মালা, শ্রীযন্তম, ঠাকুর ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা শুভকারক।
ধন্বন্তরি পুজোর সময়:
বুধবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে ৮টা ২২ মিনিটের মধ্যে। উপচার হল— হলুদ রঙের ফুল, মালা, মিষ্টি দিয়ে পুজো করুন রাতের সময় হল ৯টা ১৩ মিনিট থেকে ১১টা বেজে ৪৬ মিনিট পর্যন্ত পুজোর শুভ মুহূর্ত।
সামান্য গমের ওপর প্রদীপ রাখবেন, তিলের তেল দেবেন। তিল তেল না থাকলে সর্ষের তেল দেবেন, তার মধ্যে কিছুটা কালো তিল দেবেন। চারটে প্রদীপের সলতে দিয়ে চারদিকে প্রদীপ জ্বালাবেন বিকেল ৫টা ১ মিনিট থেকে ৬টা ১০ মিনিট পর্যন্ত, অকালমৃত্যু রোধে যমদীপ দান করা হয়।
সোনা রুপোর গয়না ও দেব দেবীর মূর্তি কেনার শুভ সময় মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫৭ মিনিট থেকে ১২টা ৪৫ মিনিট আবার দুপুর ২টো ১০ থেকে ৩টে ৩৬ মিনিট, সন্ধ্যা ৭টা ৩০ থেকে ৮টা ২ , রাত ৯টা ১৩ মিনিট থেকে মধ্যরাত ২টো ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
বুধবার, ভোর ৫টা ৪০ মিনিট থেকে সকাল ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত, পুনরায় সকাল ৯টা ৫৫ থেকে দুপুর ১২টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত।
কোন রাশির জাতক কী কিনবেন
মেষ রাশি: দেবীর জন্য লাল রঙের বস্ত্র কিনুন। বাড়ির গুরুজনদের জন্য পোশাক ও মিষ্টি নিন। গাড়ি-বাড়ির জন্য অর্থ বিনিয়োগের কথা ভাবতে পারেন। ভালো ধর্ম পুস্তক কিনুন।
বৃষ রাশি: রুপোর দেবদেবীর মূর্তি কিনুন। ভাইকে উপহার দিন। বিষ্ণুমূর্তি ও সাদা/ হলুদ বস্ত্র, ঠাকুর ঘরের সামগ্রী কিনুন। অনাথ শিশুদের জন্য দানসামগ্রী কিনতে পারেন। রুপোর জিনিস কিনতে পারেন।
মিথুন রাশি: বাড়ির বাচ্চাদের জন্য পোশাক, সাদা সবুজ রঙের বস্ত্র, মুক্তো কেনা অত্যন্ত শুভ। মাছের জন্য খাবার, শিশুদের উপহার, সবুজ রত্ন পান্না ধারণ করা যেতে পারে।
কর্কট রাশি: মায়ের জন্য বস্ত্র ও উপহার কিনুন। লাল/ সাদা বস্ত্র পরিধান করতে পারেন। লোককে উপহার হিসেবেও দিতে পারেন। জমি কেনা বা পুকুর খনন করা অত্যন্ত শুভ। জলজ প্রাণীদের জন্য খাবার কিনতে পারেন। গ্রহরত্ন হিসাবে রক্তপ্রবাল ও চুনি কেনা/পরিধানের জন্য শুভ দিন।
সিংহ রাশি: পিতার জন্য উপহার ও মিষ্টি ঘরে আনুন। লাল বস্ত্র, ঠাকুর ঘরের সামগ্রী, বাস্তু সম্পর্কিত দরকারি জিনিস, ঘর সাজাবার উপকরণ, ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যাদি , রেশম/পশমের বস্ত্র ধারণে শুভ ফল পাবেন। কাঠের আসবাবপত্র কেনাও শুভ।
কন্যা রাশি: রুপোর শিব/ বিষ্ণ মূর্তি, সাদা/ সবুজ বস্ত্র, বাড়ির বাচ্চাদের জন্য উপহার কেনা, শেয়ার বন্ডের জন্য অর্থ বিনিয়োগ করুন। মা কালীর মন্দিরে নারকেল অর্পণ করুন।
তুলা রাশি: নিজের/ পরিবার সন্তানের নামে মন্দিরে পুজো দিন। সাদা বস্ত্র পরিধান শুভ জ্ঞাপক। দেবাদিদেব মহাদেবের জন্য কিছু কিনুন, রুপোর বেলপাতা, রুপোর সাপ বা রুপোর মহাদেবের মূর্তি, লকেট, ত্রিশূল লকেট কিনতে পারেন। রুদ্রাক্ষ কিনতে পারেন। পুজো দিন কুবেরের জন্য হলুদ মিষ্টি ঠাকুরকে অর্পণ করুন।
বৃশ্চিক রাশি: দীক্ষা হয়ে থাকলে গুরুদেবকে দক্ষিণা দিন। ধর্মপুস্তক বা যে কোনও শিক্ষা বিষয়ক পুস্তক কিনুন, পিতা/গুরুজন স্থানীয় ব্যক্তিকে উপহার দিন। প্রয়োজন থাকলে হলুদ রত্ন ধারণ তথা পোখরাজ/ টোপাজ ধারণ করতে পারেন। মন্দির ও বিদ্যালয়ের জন্য কিছু পুস্তক, বাচ্চাদের পোশাক ইত্যাদি দেওয়ার কথা ভাবতে পারেন।
ধনু রাশি: মা লক্ষ্মীর পুজো করুন। রুপোর মূর্তি কিনতে পারেন। সোনা কেনা অত্যন্ত শুভ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যয় করতে পারেন। জমি রিয়েল এস্টেট ও বন্ডে অর্থ বিনিয়োগ শুভকারক।
মকর রাশি: মাছ তথা জলজ জীবদের খাবার দিন। জমিতে পুকুর খনন কার্য করতে পারেন। মা নর্মদার উদ্দেশে পুজো দিন। নর্মদ্দেশ্বর শিবকে বেলপাতা প্রদান করুন। রুদ্রাক্ষ/ স্ফটিক/ পদ্মাবীজের মালা কিনতে পারেন। গাড়ি কেনাও শুভ।
কুম্ভ রাশি: ধর্মীয় পুস্তক কিনতে পারেন। বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের ফলমূল, মিষ্টি, পোশাক সাধ্যমতো দান করুন। কালীমন্দিরে পুজো দিন। গুরুজনের জন্য ক্ষমতা অনুযায়ী কিছু উপহার/ বস্ত্র বা মিষ্টি দিন। মায়ের মন্দিরে নারকেল চড়ান। শিবের জন্য রুপোর বেলপাতা, রুদ্রাক্ষ, স্ফটিকের মালা কিনতে পারেন।
মীন রাশি: জলজ প্রাণীদের খাবার দিন। জমি বাড়ির জন্য অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন। মাকে খুশি করুন, দেবী লক্ষ্মীর জন্য কিছু কিনুন, পুজো দিন। হলুদ মিষ্টি খাওয়ান, হলুদ বস্ত্র পরিধান করুন। হলুদ রত্ন ধারণ করতে পারেন। সোনা কেনা শুভ।