আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
গত রবিবারই সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছে পূর্ব রেল। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১০ জানুয়ারি এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ‘আসন্ন কুয়াশার মরশুমের দিনগুলিতে’ যেসব ট্রেন সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক বাতিল ও নিয়ন্ত্রিতভাবে চলবে, তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই সময়সীমার মধ্যে কুয়াশার কারণে মোট আটটি ট্রেন সম্পূর্ণ বাতিল করেছে পূর্ব রেল। মন্ত্রক সূত্রের খবর, রেলের অন্যান্য জোনও পরিস্থিতি অনুযায়ী সংবাদপত্র এবং অন্যান্য প্রচার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে ট্রেন বাতিলের আগাম ঘোষণা করছে। অন্তত সেরকমই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, এ থেকে স্পষ্ট যে শুরু থেকেই হাল ছেড়ে দিচ্ছে রেল। শীতের মরশুম শুরু হওয়ার ঢের আগেই এহেন পদক্ষেপ প্রমাণ করে দিচ্ছে, কোটি কোটি টাকা খরচই সার। আদতে কিছুই করতে পারবে না রেল। মোদি থেকে অশ্বিনী বৈষ্ণব বছরের পর বছর স্রেফ গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাবেন। কিন্তু ট্রেন লেট হওয়ার হাত থেকে নিস্তার মিলবে না রেলযাত্রীদের। ট্রেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেরিতে চলায় তাঁরাই সবথেকে বেশি হয়রানির শিকার হবেন।
তাহলে কি রেলের পরিকাঠামোগত মানোন্নয়নের ঢক্কানিনাদ শুধু কাগজে কলমেই? উঠছে প্রশ্ন। এপ্রসঙ্গে গুরুগ্রামের বাসিন্দা অনিন্দিতা নাথ বলেন, ঠান্ডার মধ্যে ১২-১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত যাত্রীদের স্টেশনে অপেক্ষা করতে হয়। বেশ কিছু ট্রেন আগাম বাতিল হওয়ায় এবার সমস্যা আরও বাড়বে। কোভিড কালের পর থেকেই বিমানের ভাড়া আকাশছোঁয়া। তাই বহু যাত্রী রেলের উপর নির্ভরশীল। সেখানেও রয়েছে ডায়নামিক ফেয়ার। রয়েছে আরও একটি প্রশ্ন, কেটে রাখা টিকিটের রিফান্ড মিলবে তো? রেলের দাবি, ট্রেন বাতিল হলে পুরো রিফান্ড পাবেন যাত্রীরা। কিন্তু তা যদি না হয়! সেক্ষেত্রে কী করণীয়? প্রতি বছর শীতে বিশেষ করে উত্তর ভারত কিংবা উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনের যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। রাজধানী-শতাব্দী-দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো প্রিমিয়াম ট্রেনও অনেক সময় গড়ে তিন-চার ঘণ্টা লেটে চলে। এবার সেই আতঙ্ক শুরু হল বেশ কয়েকমাস আগে থেকেই।