আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
রাঙাপানি স্টেশনের কাছে নির্মলজোতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে ন’টি দেহ শনাক্ত হয়েছে। বুধবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে বিশালপ্রতাপের মৃতদেহ শনাক্ত করেন তাঁর ভাই অজিত। তিনি বলেন, দাদা উত্তরবঙ্গে ঘুরতে এসেছিলেন। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁদের বাড়ি বিহারের সিওয়ান জেলায় হলেও বিশাল কর্মসূত্রে নিজের পরিবার নিয়ে দক্ষিণ দমদমের বাগুইআটির দক্ষিণ দাড়ি রোডে বসবাস করতেন। বউদিকে এখনও দাদার মৃত্যু সংবাদ জানানো হয়নি।
এদিকে ভয়াভয় ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। ঘটনার দিনই মালগাড়ির চালককে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করে রেল কর্তৃপক্ষের একাংশ। ঘটনার তিনদিনের মাথায় তারা চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনে। রেল সূত্রে খবর, রাঙাপানি স্টেশনে ঘাতক মালগাড়িটি দাঁড়িয়েছিল। স্টেশন মাস্টার সেটিকে টিএ ফর্ম প্রদান করে। এরপরই মালগাড়িটি অস্বাভাবিক গতিতে ছুটল কি ভাবে? যার গতি ছিল ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০কিমি। তা হলে কি মালগাড়ির ইঞ্জিনে গলদ ছিল? কাটিহারের ডিআরএম বলেন, ইতিমধ্যে মালগাড়ির ইঞ্জিন কারশেডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইঞ্জিনে কোনও ত্রুটি ছিল কি না তা জানতে সেটির মেকানিক্যাল টেস্ট করা হবে।
রাঙাপানি থেকে চটেরহাট স্টেশন পর্যন্ত রেল গেটের সংখ্যা তিনটি। শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ম্যানুয়াল সিগন্যাল বা পেপার লাইন ক্লিয়ার (পিএলসি) মেনেই চলছিল। সেই ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই ছিল। নিয়ম মেনে সেটি রাঙাপানি স্টেশন সহ প্রতিটি সিগন্যাল ও লেভেল ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়েছিল। তা হলে লেভেল ক্রসিং বা গেট থেকে মালগাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে কোনও চেষ্টা করা হয়নি। টেলিফোনের ত্রুটির জেরে সেই চেষ্টাও কি ভেস্তে যায়! বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির জেরে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালের মতো টেলিফোন ব্যবস্থাও বিগড়ে গিয়েছিল বলে সন্দেহ।
ডিআরএম বলেন, কাঞ্চনজঙ্ঘা নিয়ম মেনে চললেও মালগাড়ি তা অনুসারণ করেনি। সেটির গতি ছিল বেশি। একটি গেট থেকে মালগাড়ির গতি সম্পর্কে রাঙাপানি স্টেশনে জানানো হয়েছিল। সেই মালগাড়ির চালককেও জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই টেলিফোন মিলেছিল কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এজন্য সেই টেলিফোনের লাইন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে রাঙাপানি স্টেশনের কাছে নির্মলজোতে ওই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনা নিয়ে তদন্তে নেমেছেন কমিশনার্স অব রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস) জনককুমার গর্গ। ডিআরএম বলেন, বিকেল পর্যন্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চালক সহ ১০ জনের বয়ান নথিভুক্ত করেছে তদন্ত কমিশন। তবে কোনও যাত্রী বা সাধারণ মানুষ এখনও কমিশনের কাছে আসেনি।