আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশে ৭০-এর বেশি গ্যাং রয়েছে সুবোধের। সদস্য সংখ্যা চার হাজারের বেশি। প্রত্যেকেরই মাসমাইনে ২০-২২ হাজার টাকা বাঁধাধরা। সঙ্গে ‘ইনসেনটিভ’ অর্থাৎ, যত বেশি সোনা লুট, তত কমিশন। লুটের পর পুরো সোনা জমা পড়ে সুবোধের কাছে। ১৫ শতাংশ সে নিজে রাখে। ১৫ শতাংশ সোনা বিক্রি করে আসা টাকা ‘ইনসেনটিভ’ হিসেবে পায় গ্যাং মেম্বাররা। বাকি ৭০ শতাংশ বিক্রি হয় নেপালে। রাজ্য পুলিস সূত্রে খবর, গ্যাং মেম্বার জোগাড় করে সুবোধ নিজে এবং সঙ্গে বিহারের অন্যান্য জেলে বন্দি তার ‘ডান হাত’রা। চুরি-ছিনতাইয়ের মতো ছোটখাট অপরাধ করে আসা অভিযুক্তদের জামিন করিয়ে চলে মগজ ধোলাই। তারপর তাদের নিয়োগ করা হয় সোনা লুটের গ্যাংয়ে। জেলের বাইরে বসে তাদের নিয়ন্ত্রণ করে সুবোধের ভাই। বাংলার বিভিন্ন জেলে সুবোধের শাগরেদ রয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা গ্যাংমেম্বাররা গাড়ি-বাইক জোগাড় করা, ট্রেনের টিকিট কাটা, থাকার ব্যবস্থা করে। তবে কাকে কোথায় অপারেশন পাঠানো হবে, তার সিদ্ধান্ত নেয় সুবোধ নিজে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে ছেলে আনা হয়। রেইকি করার টিম রিপোর্ট দেওয়ার পর শুরু হয় অপারেশন।
সুবোধের নাম প্রথম উঠে আসে ২০১০ সালে টিটাগড়ে একটি ব্যাঙ্কলুটের ঘটনায়। তখনও সে ডন হয়ে ওঠেনি। কিছুদিন জেলে কাটিয়ে জামিন পেয়ে বাইরে চলে আসে। কিন্তু তার মধ্যেই এই রাজ্যে নিজের টিম গড়ার প্রাথমিক কাজটা সেরে ফেলেছিল সে। এরপর ২০১৮ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড সহ ছয় রাজ্যে একের পর এক সোনার দোকান, স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় ডাকাতি করে সুবোধ গ্যাং। প্রায় ১৮০ কেজি সোনা লুট করা হয়, যার বাজারদর ছিল ১০৪ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে বিহার এসটিএফের হাতে ধরা পড়ে সুবোধ। সেই থেকেই সুবোধের ঠিকানা বেউর জেল।
এরপর রাজনৈতিক দাদাদের সহায়তায় তোলাবাজিতে নামে সুবোধ গ্যাং। শুরু হয় বিভিন্ন রাজ্যে খুনের সুপারি নেওয়া। ২০২০-তে বারাকপুরের বিজেপি কাউন্সিলার মণীশ শুক্লা খুনের নেপথ্যে ছিল তারা। এই মামলায় বেউর জেলে গিয়েও সুবোধকে জেরা করতে পারেনি সিআইডি। গোটা গ্যাংকে নিকেশ করতে এবার স্পেশাল টিম তৈরি করে রাজ্য পুলিস চিরুণি তল্লাশিতে নামবে বলে সূত্রের খবর। বিহার পুলিসের সঙ্গে এই নিয়ে বৈঠকে বসতে
চলেছেন তারা।