আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া ওড়িশা, উপকূলীয় অন্ধ্র এবং বিহারের কিছু অংশে বর্ষা ঢুকবে। প্রথম দফায় দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, নদীয়া ও উপকূল সংলগ্ন এলাকায় বর্ষা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে বর্ষা প্রবেশ করলেও আপাতত উত্তরবঙ্গের মতো দক্ষিণবঙ্গে খুব বেশি মাত্রায় বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস। তিনি জানান, বর্ষা প্রবেশের আগে ও পরে আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে ঝড়বৃষ্টি চলবে।
উত্তরবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ন কয়েকটি জেলায় আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে। আজ শনিবার ও আগামী কাল রবিবার আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং প্রভৃতি জেলার কোনও কোনও স্থানে অতিভারী বৃষ্টির ‘লাল’ সতর্কতা থাকছে। সামগ্রিকভাবে এই জেলাগুলিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত বেশি মাত্রার বৃষ্টির ‘কমলা’ সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার কোনও কোনও স্থানে আজ শনিবার তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি থাকবে। তবে তার মধ্যে ঝড়বৃষ্টিও হবে বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে। রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের কোনও জায়গার জন্য অবশ্য তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি। তবে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে রবিবারও অস্বস্তিকর গরম থাকবে। রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির মাত্রা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
উত্তরবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ন জেলাগুলির বিভিন্ন জায়গায় শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। উত্তরবঙ্গে সক্রিয় রয়েছে মৌসুমি বায়ু। মধ্য উত্তরপ্রদেশ থেকে মেঘালয় পর্যন্ত বিস্তৃত নিম্নচাপ অক্ষরেখাটি হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গ ও সংলগ্ন বিহারের উপর দিয়ে গিয়েছে। বিহার ও সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের উপর অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। একসঙ্গে এতগুলি অনুকূল পরিস্থিতি থাকার কারণে উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি চলছে।
দক্ষিণবঙ্গসহ পূর্ব ভারতে বেশ কিছুদিন ধরে মৌসুমি বায়ু ঢুকতে পারেনি। তার কারণ কী? আবহাওয়াবিদদের মতে, মধ্য ভারতের উপর একটি উচ্চচাপ বলয়ের উপস্থিতিই এর কারণ। মৌসুমি বায়ুকে থমকে দিয়েছে ওই উচ্চচাপ বলয়। তবে এবার দক্ষিণবঙ্গসহ পূর্ব ভারতে বর্ষা প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। গতবছরও ২১ জুন নাগাদ দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করেছিল। এবারও বর্ষার প্রবেশ স্বাভাবিক সময়ের অন্তত সাত-আট দিন পর হতে চলেছে।