বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, পবন কাডিয়ানকে নিয়ে এর আগেও বিতর্ক হয়েছে। হুগলিতে জেলাশসক থাকাকালীন অধঃস্তন এক অফিসারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ ঘিরে ডব্লুবিসিএস মহল ক্ষুব্ধ হয়। পরে তাঁকে কোচবিহারে বদলি করা হয়।
প্রসঙ্গত, বিজেপির প্রাক্তন ও বর্তমান সভাপতির সঙ্গে বুধবার বিএসএফের ডিআইজির সাক্ষাৎপর্ব ঘিরে জোর বিতর্ক ছড়ায় কোচবিহারে। ভোটের আগে এ ঘটনা নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের শামিল বলে দাবি করে তৃণমূল। ওই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন জেলার নির্বাচন আধিকারিক হিসেবে জেলাশাসকের চেম্বারে ডেপুটেশন দিতে যান উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ’র নির্বাচনী এজেন্ট পার্থপ্রতিম রায় সহ আরও তৃণমূলের কয়েকজন। জেলাশাসকের চেম্বারের দরজায় বাইরে থেকে অঞ্জনবাবু সেই ছবি তোলেন। অঞ্জনবাবু বলেন, ছবি তুলে যখন ফিরে যাচ্ছি, সেসময় হঠাই দেখি, কাঁধে ঝোলানো ক্যামেরার বেল্ট ধরে টানাটানি করছেন স্বয়ং জেলাশাসক। পরে সেটি কেড়ে নেন তিনি। ওই ঘটনায় ঘাবড়ে যাই। বলি, স্যর এ কী করছেন? তিনি বলেন, কেন ছবি তুলেছেন? বুঝি, তাঁর আপত্তি ছবি তোলা নিয়ে। এর পর বারবার বলি, আপনি না চাইলে ছবি দেব না। ক্যামেরা ফিরিয়ে দিন। কিন্তু আমার কথার জবাব না দিয়ে ক্যামেরা খুলে সব ছবি ডিলিট করে দেন জেলাশাসক। এত বছর ধরে চিত্রসাংবাদিকতা করছি। অতীতে এমন ঘটনার সম্মুখীন কখনও হইনি। রীতিমতো অপমানিত বোধ করি। ওই ঘটনার কিছুক্ষণ পর জেলাশাসক পবন কাডিয়ান তাঁর চেম্বারের বাইরে এসে অঞ্জনবাবুর সামনে রীতিমতো হাতজোড় করে বলেন, আমি ক্ষমা চাইছি। তবে ভুলটা আমার না, আপনার। তবু আমি সবার সামনে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তখনও আমি তাঁকে বলি, আমি তো ছবি দেব না বলেছিলাম। তাও শুনলেন না। ক্যামেরা কেড়ে নিলেন।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি গিরিনবাবু বলেন, চিত্রসাংবাদিকদের যে কোনও জায়গায় যাওয়ার অধিকার রয়েছে। জেলাশাসক বিষয়টি অন্যভাবে বলতে পারতেন। ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ছবি ডিলিট করাটা ঠিক হয়নি তাঁর। প্রয়োজনে তিনি সিকিউরিটিকে বলতে পারতেন যে, কেউ যাতে না আসেন। সতর্কীকরণটা আগেই থাকা উচিত ছিল। পরে তিনি যে ভুল সংশোধন করেছেন, সেটা কাজটি অন্যায় হয়েছে এটা উপলব্ধি করেই। তাও ভালো। তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিমবাবু বলেন, জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জমা দিতে গিয়েছিলাম। চিত্রসাংবাদিকরা ছবি তোলেনই। যদি জেলাশাসক ছবি ডিলিট করেন, সেটা অন্যভাবে, কথা বলে নিয়েও করতে পারতেন। এমন ঘটনা না ঘটলেই ভালো হতো।