বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, পাচার এবং অনুপ্রবেশের ব্যাপারে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছি। এর আগে পাচারে জড়িত এবং বেআইনি ভাবে সীমান্ত পারাপারের অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে। আগামী দিনেও কেউ এধরনের কাজ করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলির মধ্যে মালদহ উল্লেখযোগ্য। এজেলার ভৌগলিক পরিবেশ সীমানা সংলগ্ন অন্যান্য জেলার তুলনায় আলাদা। গঙ্গা, মহানন্দা প্রভৃতি নদনদী সীমান্ত এলাকায় বয়ে গিয়েছে। এজেলার কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগর পাচারকারীদের কাছে স্বর্গরাজ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ পাচারকারীদের লিঙ্ক ম্যান হিসেবে কাজ করে বলে অভিযোগ। এর আগে পুলিসের অভিযানে বেশ কয়েকজন লিঙ্কম্যান গ্রেপ্তারও হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ পাচারকারীদের সঙ্গে গোপন পথে বাংলাদেশ ঘুরে এসেছে বলেও পুলিসের জেরায় স্বীকার করেছে। সীমান্তের ওপারেও ওই ধরনের লিঙ্কম্যান রয়েছে। সীমান্ত লাগোয়া এলাকার গ্রামগুলিতে তারা বাস করে। অভ্যন্তরীণ গণ্ডগোল মোকাবিলায় পুলিস ব্যস্ত থাকলে লিঙ্কম্যানদের পোয়াবারো। তখন পুলিস তাদের উপর সেভাবে নজর রাখতে পারে না। ফলে তারা পুরোদমে পাচারের কাজে নেমে পড়ে। কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায় পুলিসের উপর বারবার হামলার ঘটনাতেও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কারণ পুলিস এলাকায় যত কম যাবে, পাচারকারীদের সুবিধা তত বেশি হবে। এই ধারণার উপর ভিত্তি করেই পুলিসকে জব্দ করার মতলব নেয় পাচারকারীরা।
মালদহ জেলার সীমান্তে জালনোটের পাশাপাশি মাদকজাত দ্রব্য পাচার বেশি হয়ে থাকে। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি থেকে মাদক এনে মালদহ হয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হয়। তেমনই পাকিস্তান ও নেপাল থেকে বাংলাদেশে আসা জালনোট মালদহ হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পাচারকারীদের জেরা করেই মালদহ পুলিস এই ধরনের তথ্য পেয়েছে। ফলে মালদহ পুলিসকে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হচ্ছে।
এক গোয়েন্দা কর্তা বলেন, যেকোনও এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে দুষ্কৃতীদের সুবিধা হয়। তখন তারা নিজেদের মতো কাজ করতে পারে। কারণ পুলিসকে আইনশৃঙ্খলা বলবৎ করার জন্য ব্যস্ত থাকতে হয়। সীমান্তে সেই সুবিধা পাচারকারীরা নিয়ে থাকে। ফলে যে কোনও একটি দেশে গণ্ডগোল হলে তার প্রভাব পড়শি দেশের সীমান্তেও পড়ে। পাচার এবং অনুপ্রবেশ যাতে না হয় সেদিকে আমাদের নজর রাখতে হবে।