বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
হিলি এক্সপোর্ট অ্যান্ড ক্লিয়ারিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ধীরাজ অধিকারী বলেন, বাংলাদেশ সরকার শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়ায় সেখানে চাল আমদানি করার খরচও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বর্ধিত শুল্ক দিয়ে ভারত থেকে আক চাল আমদানি করতে চাইছে না ব্যংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। তাই তারা জানিয়েছে আগামী ৩০ অক্টোবরের পর তারা আর ভারত থেকে চাল আমদানি করবে না। ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীদের তরফে চিঠি দিয়ে তা জানিয়েছে দিয়েছে ভারতের রপ্তানীকারীদের। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এখন হিলির কাছে এপারে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায় ১৫০টি চালের লরি আটকে রয়েছে। অন্য লরি সরিয়ে আটকে থাকা চালের লরিগুলি যাতে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বাংলাদেশে ঢুকতে পারে সে ব্যাপারে দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিস সুপারের আবেদন জানিয়েছে হিলির এক্সপোর্ট ব্যবসায়ী সংগঠন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিস সুপার রাহুল দে বলেন, এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আবেদন করা হয়েছে যাতে চালের লরিগুলি আগে যেতে দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী অল্প করে চালের লরিগুলি পাঠানো হচ্ছে। আশা করছি সমস্ত লরি ৩০ অক্টোবরের আগে বাংলাদেশে চলে যাবে।
জানা গিয়েছে, আগস্ট মাসে বাংলাদেশে চালের উপরে শুল্ক ছিল ১৫ শতাংশ। সেই অনুযায়ী হিলি হয়ে প্রচুর পরিমাণে চাল বাংলাদেশে রপ্তানি শুরু হয়। প্রতিদিন ৩০টি করে লরি বাংলাদেশে যাচ্ছিল। প্রত্যেক লরিতে প্রায় ৪০-৬০ টন করে করে চাল পাঠানো হয়। হঠাৎ সেই শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ করা হয়েছে। যে কারণে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে হিলি এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি পাঠিয়েছে। সারা বছর বাকি সামগ্রীগুলি রপ্তানি হলেও চাল সারা বছর হয় না। বছরের কয়েক মাস চাল রপ্তানি হয়। এতে ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখতে পান। রপ্তানি বন্ধ হলে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি লরি মালিকদেরও ক্ষতির মুখ দেখতে হবে।