বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ১০টা নাগাদ আচমকাই বিস্ফোরণ ঘটে আলিপুর – ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের করারিচাঁদপুর এলাকার পটুয়াটুলি গ্রামে। একটি বন্ধ অবস্থায় পড়ে থাকা বাড়ির ছাদের অনেকটা অংশ উড়ে যায় বিস্ফোরণের অভিঘাতে। আতঙ্কিত বাসিন্দাদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে ওই এলাকায় ছুটে যায় কালিয়াচক থানার পুলিস। প্রাথমিক তদন্তের সময় তাঁদের নজরে আসে যে ঘরটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, সেখানে পড়ে রয়েছে আরও কয়েকটি তাজা বোমা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, যে বাড়িটিতে প্রাথমিক বিস্ফোরণ ঘটে সেই বাড়ির মালিকের নাম সামিয়ুল শেখ। তবে তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ ঘটনার সময় এলাকায় ছিলেন না। পরে ওই গ্রামের একটি লিচুবাগান থেকেও জার ভর্তি আরও অনেকগুলি তাজা বোমার সন্ধান পায় পুলিস। বোমাগুলি অত্যন্ত শক্তিশালী বলেই অনুমান পুলিস আধিকারিকদের। এরপরেই খবর দেওয়া হয় সিআইডি’র বোম্ব স্কোয়াডকে। তাঁরা এসে বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করেন।
কালিয়াচক থানার আইসি মদনমোহন রায় বলেন, করারিচাঁদপুরের পটুয়াটুলিতে একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। তদন্তে নেমে পুলিস স্থানীয় একটি বাগান থেকেও বেশ কিছু বোমা উদ্ধার করেছে। সব মিলিয়ে ৪০টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। তবে যে বাড়িটিতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, সেই বাড়িটির মালিক কাশ্মীরে শ্রমিকের কাজ করেন বলে পুলিস জানতে পেরেছে। তিনি সপরিবারে সেখানেই থাকেন বলে পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। তাঁর অনুপস্থিতিতেই ওই বাড়িটিকে দুষ্কৃতীরা বোমা সঞ্চিত রাখার নিরাপদ জায়গা বলে মনে করেছিল। তবে বাড়িটির মালিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে আরও খোঁজখবর চালানো হচ্ছে।
কালিয়াচক থানার আইসি আরও বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা না গেলেও জোরকদমে তদন্ত করা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের কোন গোষ্ঠী এই বোমা তৈরি ও মজুত রাখার কাজ করছিল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। এদিন যে বোমাগুলি উদ্ধার হয়েছে সেগুলির প্রতিটিতে যথেষ্ট সংখ্যায় স্প্লিন্টার ব্যবহার করা হয়েছিল। ফলে বোমাগুলি ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। সেগুলির ধ্বংস করার ক্ষমতাও অনেকটা বেশি বলেই মনে করছেন সিআইডি’র বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরা।