বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
রাজ্যের হিমঘরগুলিতে এখনও প্রায় ২৫ লক্ষ টন আলু মজুত রয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের বাজারের চাহিদা মেটানোর পক্ষে পর্যাপ্ত আলু রয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, নভেম্বর পর্যন্ত হিমঘরগুলি চালু থাকে। যেহেতু এবার প্রচুর পরিমাণ আলু রয়ে গিয়েছ, তাই এই সময়সীমা ডিসেম্বর পর্যন্ত করার জন্য রাজ্য সরকারকে অনুরোধ জানাবে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। সংগঠনের চেয়ারম্যান লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভিন রাজ্যের ও রাজ্যের বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি নভেম্বরের মধ্যে হিমঘরে মজুত আলু শেষ করা সম্ভব নয়। তাছাড়া বৃষ্টির জন্য এবার পোখরাজ ভ্যারাইটির আলুর চাষ শুরু করতে কিছুটা দেরি হবে। ফলে নতুন আলু বাজারে আসতেও দেরি হবে। ডিসেম্বরে হিমঘরের আলুই বাজারের চাহিদা মেটাবে।
গত মরশুমে আবহাওয়া অনুকূল থাকার জন্য রাজ্যে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছিল। হিমঘরে মজুত হয় প্রায় ৭২ লক্ষ টন। ফলন বেশি হওয়ার জন্য নতুন আলু ওঠার পর চাষিরা ভালো দাম পাননি। নতুন আলু ৫-৬ টাকার আশপাশে বিক্রি হয়েছিল। পরে বেশি দাম পাওয়ার আশায় যে চাষিরা হিমঘরে আলু রেখেছিলেন তাঁরাও বেশিরভাগ সময়ে ভালো দাম পাননি। তবে ফলন বেশি হওয়ার জন্য এবার বাজারে আলুর দাম কম থাকায় ক্রেতারা স্বস্তি পেয়েছন। গত বছর পুজোর সময় জ্যোতি আলুর দাম খুচরো বাজারে ৪০ টাকা ছাড়িয়েছিল। এবার তা এখনও ২০ টাকাও হয়নি। রাজ্য সরকার ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোর পরিবহণ খাতে ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থা সেপ্টেম্বরে চালু করে। সড়কপথে আলু পাঠালে প্রতি কেজিতে ৫০ পয়সা ও রেলে পাঠালে ১ টাকা করে ভর্তুকি দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। এরপর ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো বেড়েছে। মূত সড়ক পথে আলু যাচ্ছে ভিন রাজ্যে। নভেম্বর পর্যন্ত এই ভর্তুকি দেবে সরকার।