বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
উল্লেখ্য, এতদিন এই দায়িত্বে ছিলেন রমাপদ পাল। সম্প্রতি তিনি ক্ষেত্র প্রচারকের দায়িত্ব পান। তারপর থেকে এই পদটি ফাঁকা ছিল। বর্ধমানের বাসিন্দা সুব্রতবাবু প্রায় সাড়ে তিন দশকের বেশি সময় সঙ্ঘের প্রচারক । ২০০৫ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত সঙ্ঘের পূর্ব ক্ষেত্রের অধীনে পশ্চিম বাংলার দক্ষিণবঙ্গের প্রচার প্রমুখের দায়িত্ব সামলেছিলেন। সেই বছরই তাঁকে আরএসএস থেকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে রাজ্য বিজেপিতে পাঠানো হয়েছিল। প্রসঙ্গত, জাতীয় তথা রাজ্য বিজেপিতে একটি মাত্র পদ রয়েছে, যার নিয়োগ সরাসরি সঙ্ঘ থেকে হয়। সেটি হল সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)। গেরুয়া পরিসরে যার পোশাকি নাম ‘সংগঠন মহামন্ত্রী’। সুব্রতবাবুকে ২০১৩ সালে রাজ্য বিজেপির সহকারি সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) করে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাঁরই হাত ধরে উঠে এসেছিলেন রাজ্য বিজেপির সদ্য প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপবাবুও সঙ্ঘের প্রচারক থাকাকালীন সুব্রতবাবুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের তৎকালীন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দিলীপ ঘোষকে বিজেপিতে নিয়ে আসার জন্য কেশব ভবন ও নাগপুরে দরবার শুরু করেন সুব্রতবাবু। অবশেষ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে দিলীপ ঘোষ বঙ্গ বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব নেন। আর তারপর ইতিহাস। দিলীপ-সুব্রত জুটি একের পর এক সাফল্য এনে দেয় বাংলা পার্টিকে। নজর ঘোরে দিল্লির।
২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে দিলীপ ঘোষ সহ তিন বিধায়কের জয়। তার দু’বছরের মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্বাধীন বাংলায় এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো ফলাফলের রেকর্ড তৈরি করে নজির গড়েছিল বিজেপি। এরপর ২০১৯ লোকসভা ভোটে ১৮ জন এমপি’র পদ্মফুল টিকিটে জয় বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম এক মাইল ফলক হিসেবে চিহ্নত হয়ে রয়েছে। এহেন দিলীপ ঘোষ ও সুব্রত চট্টোপাধ্যায় জুটি বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। ভিনদল থেকে আসতে ইচ্ছুক ‘বেনো জল’দের বিজেপিতে ঢোকার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আর তা থেকেই বাধে সংঘাত। সঙ্ঘের তৎকালীন পূর্ব ক্ষেত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রদীপ যোশি এবং বি এল সন্তোষের পরামর্শে সফল এই জুটিকে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ভোটের প্রার্থী বাছাই থেকে দলবদলুদের সম্পর্কে কোনও সিদ্ধান্তে দিলীপবাবুর মতামত গ্রাহ্য হতো না। ভোটের মুখে অর্থাৎ গত বছর অক্টোবর মাসে হঠাৎ করে সরিয়ে দেওয়া হয় সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। এবার দীর্ঘ প্রায় এক বছর দায়িত্ব মুক্ত থাকার পর সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে ফিরিয়ে নিল আরএসএস। বিজেপির এই প্রাক্তন শীর্ষ সংগঠকের পদপ্রাপ্তি ঘিরে গেরুয়া শিবিরে খুশির হাওয়া।