বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
কালীঘাট থানার ৬৬ পল্লি পুজোমণ্ডপ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা শুভায়ন। বাড়ির কাছের স্কুলেই তাঁর লেখাপড়া শুরু। ২০০৯ সালে বালিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এমন তরতাজা এক তরুণের মৃত্যুতে পরিবার-পরিজনদের পাশাপাশি স্কুলের বন্ধুদের মধ্যেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর শিক্ষক ও বন্ধুদের অনেকেই এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না যে ‘পাহাড় পাগল ছেলেটা’ আর নেই! ২০১৯ সালে এক দুর্গম পার্বত্য এলাকায় ট্রেকিং করতে গিয়েছিলেন শুভায়ন। তারপর থেকেই তাঁকে রীতিমতো এই ‘নেশা’ পেয়ে বসে। দিনরাত গুগলে পার্বত্য পথের অ্যাডভেঞ্চার খুঁজতেন তিনি। দুঃসাহসিক স্বভাবের শুভায়নের পছন্দই ছিল দুর্গম জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। করোনাকালে লকডাউন চলায় ২০২০ সালে কোথাও যেতে পারেননি তিনি। তাঁর বন্ধুদের কথায়, পুরনো ট্রেকিংয়ের ছবি ফেসবুকে দিয়ে স্মৃতিচারণা করেই সেই বছরটা কাটিয়েছিল দিব্য। আর ফোন করে বলত, ভাই, পাহাড়কে বড্ড মিস করছি।’
কথায় কথায় প্রিয়ম বলেন, ‘২০২১-এ করোনা গ্রাফ নামতেই উত্তরাখণ্ডের টিকিট কেটেছিল ও। গন্তব্য লামখাগা পাস। দেশের মধ্যে অন্যতম দুর্গম বলে পরিচিত এই পার্বত্য পথ। ব্যাগে নিয়েছিল জাতীয় পতাকা। পর্বতশৃঙ্গ ছুঁতে পারলে ভালোবাসার তেরঙা পতাকাটা সেখানে পুঁতে দিয়ে আসার কথা বলেছিল ও।’ শুভায়নের পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর কাশী থেকে ছিটকুল যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও ১০ জন পর্বতারোহী। ১৭ ও ১৮ অক্টোবর প্রবল তুষারপাত হয় ওই এলাকায়। তাঁদের হদিশ না পেয়ে ১৯ তারিখ থেকে তল্লাশি শুরু করে সেনাবাহিনী। গত বৃহস্পতিবার লামখাগা পাস থেকেই ১০৫ সেন্টিমিটার পুরু বরফের আস্তরণ সরিয়ে উদ্ধার করা হয় তাঁর নিথর দেহ।