বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
রাজ্যে সংশোধিত ও বিধিবদ্ধ এলাকা মিলিয়ে মোট রেশন ডিলারের সংখ্যা প্রায় ২১ হাজার। অক্টোবরে গ্রামীণ এলাকা এবং ও জেলা শহরগুলির সংশোধিত রেশন এলাকায় ৯০৯৮ জন ও বড় শহরের বিধিবদ্ধ রেশন এলাকায় ১০৮৭ জন ডিলারকে দুয়ারে রেশনের আওতায় এনেছে খাদ্যদপ্তর। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত এমআর এলাকায় ৮৩০৮ জন ডিলার ও এসআর এলাকায় ২০৮ জন ডিলার এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।
এসআর এলাকার মধ্যে আসানসোল-দুর্গাপুর, বারাকপুর মহকুমা (সল্টলেক সহ), হুগলি- হাওড়া জেলার শহরাঞ্চল এবং উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা রয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুরের ৬৪ জন ডিলারই এতে অংশ নিয়েছেন। বারাকপুরে ৩১৫ জনের মধ্যে ১৩ জন, হুগলিতে ১৩২ জনের মধ্যে ৭ জন, হাওড়াতে ১১৬ জনের মধ্যে ১১ জন, উত্তর কলকাতায় ২২৬ জনের মধ্যে ৬৪ জন ও দক্ষিণ কলকাতায় ২৩৪ জনের মধ্যে ৪৯ জন পাইলট কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। জয়েন্ট ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু স্বীকার করেছে, জেলাগুলিতে এমআর এলাকায় সাংগঠনিক দুর্বলতার জন্য ডিলারদের বড় অংশকে দুয়ারে রেশন থেকে বিরত রাখা সম্ভব হয়নি। তবে খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরা ডিলারদের উপর নানাভাবে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন, যাতে তাঁরা দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালিয়ে যান। জয়েন্ট ফোরামের দুই আহ্বায়ক বিশ্বম্ভরবাবু ও নিখিলেশ ঘোষের পক্ষ থেকে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে ফের চিঠি পাঠিয়ে বেশ কয়েকটি দাবি জানানো হয়েছে।
আগামী মাসে উৎসবের মরশুম শেষ হলে সব ডিলারকে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা আছে খাদ্যদপ্তরের। ডিলারদের সংগঠনের বিরোধিতা সত্ত্বেও পাইলট প্রকল্পে যে সাড়া মিলছে, তাতে খুশি খাদ্যদপ্তর। ইচছুক ডিলারদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করছে খাদ্যদপ্তর। ঝাড়গ্রাম, উত্তর দিনাজপুর জেলায় সব ডিলার পাইলট কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। হাওড়া জেলার সংশোধিত রেশন এলাকায় একজন ছাড়া সব ডিলার অংশ নিয়েছেন। আরও কয়েকটি জেলায় এই সংখ্যা ৯০ শতাংশের বেশি। প্রসঙ্গ, দুয়ারে রেশন প্রকল্পের জন্য কুইন্টাল পিছু অতিরিক্ত ৭৫ টাকা কমিশন, গাড়ি কেনার জন্য ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান দিচ্ছে সরকার। কিন্ত ডিলারদের সংগঠনগুলির মত, এটি পর্যাপ্ত নয়। তাছাড়া আরও অনেকগুলি সমস্যার কথাও বলেছে তারা।