বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
দুর্গাপুরের রিজিওন্যাল পিএফ কমিশনার(২) শৈলেশ কুমার বলেন, সাম্প্রতিককালে বহু সংস্থা পিএফের টাকা জমা করছে না। আমরা তালিকা প্রস্তুত করে টাকা আদায়ের জন্য সচেষ্ট হয়েছি। সংস্থাগুলি এরপরও টাকা না দিলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি এমন সংস্থা রয়েছে তারা কর্মচারীদের টাকা জমা করেনি। অভিযোগের শুনানি করে ফাইন সহ বকেয়া টাকা দেওয়ার জন্য নোটিস দেওয়া হলেও তারা নির্দেশ কার্যকর করেনি। তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পথে আমরা এগব। প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করা হবে।
ভবিষ্যনিধি হল কর্মচারীর শেষ সম্বল। ইপিএফওর নিয়ম অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট শতাংশের টাকা কর্মচারীর বেতন থেকে কেটে ও নির্দিষ্ট শতাংশ টাকা সংস্থা নিজে থেকে দিয়ে পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা করবে। চড়া সুদ সহ কর্মচারীরা পরে সেই টাকা পান। এছাড়া মৃত্যুকালীন সুবিধা, পেনশন সহ নানা সামাজিক প্রকল্পের মাধ্যমে সংসার চালানোর পথ সুগম হয়। কিন্তু, এমন বহু অসাধু সংস্থা রয়েছে, যারা কর্মচারীর বেতন থেকে পিএফের টাকা কাটলেও ইপিএফওতে টাকা জমা করছে না।
ইপিএফওর দুর্গাপুর রিজিওন্যাল অফিসের অধীনে রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম ও পুরুলিয়া। এই পাঁচ জেলায় ১৮৩৬টি সংস্থা তিন মাসের বেশি সময় ধরে পিএফের টাকা দিচ্ছে না। এছাড়া প্রায় ১৩০০সংস্থা শেষ দু’মাস ধরে টাকা দিচ্ছে না। এমনিতেই করোনাকালে শ্রমিকদের আর্থিক অনটনের শেষ নেই। তার উপর সংস্থাগুলি পিএফের টাকা জমা না করায় তাঁদের চিন্তা বাড়ছে। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, কেউই টাকা না দিয়ে পার পাবে না। টাকা আদায় করা হবেই।
অন্যদিকে, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া ও বীরভূমে এমন কিছু সংস্থা রয়েছে যারা দীর্ঘদিন কর্মচারীদের পিএফ ফাঁকি দিয়ে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ার পর ইপিএফও অফিসে শুনানি হয়। এরপর বকেয়া টাকা ও ফাইন দেওয়ার জন্য ডিমান্ড নোটিস পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও কিছু সংস্থা এই টাকা না দেওয়ায় সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। দুর্গাপুর ইপিফও অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বীরভূমের ইলামবাজারের একটি সংস্থার বকেয়া ২ কোটি ৯১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৭৫, শক্তিগড়ের একটি সংস্থার বকেয়া প্রায় ৩০ লক্ষ। তালিকায় রয়েছে কোল্ড স্টোর, অটোমোবাইল সংস্থা থেকে বিভিন্ন কারখানা।