বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
মামলাকারী আসরাফুন্নেসার বাড়ি বর্ধমানের কাটোয়ায়। ২০০৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষকতার চাকরি পান মুর্শিদাবাদের জাজন কেনারাম হাইস্কুলে। বাড়ি থেকে ৫৭ কিলোমিটার দূরে। সেখানে যাতায়াতে তাঁর সমস্যা হচ্ছিল। ওদিকে মেয়েও বড় হচ্ছিল। যে এখন ১০ বছরের। গত ৬ আগস্ট রাজ্য সরকার শিক্ষকদের সহজে বদলির স্বার্থে চালু করে উৎসশ্রী ওয়েব পোর্টাল। সেখানে তাঁর করা আবেদন মঞ্জুর হয়। মধ্যশিক্ষা পর্ষদও তাতে সম্মতি দেয়। তাঁকে কেতুগ্রাম স্যার আশুতোষ ইনস্টিটিউশনে বদলি করা হয়। সেপ্টেম্বরে সেখানে চাকরিতে যোগ দেওয়ার কিছুদিন পরেই জানতে পারেন, তাঁর পূর্বতন শিক্ষক স্বামীও ওই বিদ্যালয়েই বদলি নিয়েছেন।
হাইকোর্টকে তিনি জানান, ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়েছিল। কিন্তু, মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগে ফৌজদারি মামলা হয়, যে মামলা এখনও বিচারাধীন। এমনকী সেই অভিযোগের জেরে ওই শিক্ষক অন্তত ৪৮ ঘণ্টা কারান্তরালেও ছিলেন। তাঁকে তালাকও দিয়েছেন ওই শিক্ষক। অথচ, জেনারেল ট্রান্সফার রুল অনুযায়ী, ফৌজদারি-সহ যে-কোনও মামলায় অভিযুক্ত এমন বদলির সুযোগ পেতে পারেন না। এই তথ্য চেপে গিয়ে তিনি বদলির আবেদন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়। তাছাড়া, ওই ব্যক্তি একই বিদ্যালয়ে থাকলে তাঁকে প্রতিদিন চরম অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হবে।
শিক্ষকের আইনজীবী জানান, তাঁকে বদলি হওয়া বিদ্যালয়ে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। আদালত জানায়, পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত তিনি সেখানে কাজে যোগ দিতেও পারবেন না। কমিশনার অব স্কুল এডুকেশনকে ওই শিক্ষকের বদলি সংক্রান্ত সব নথি আদালতে হলফনামা আকারে জমা করতে হবে।