আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
শনিবার সকালে তিন উইকেটে ৮১ নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল ভারত। ঝুলিতে তখনই ছিল ৩০৮ রানের লিড। দেখার ছিল, কত রানের পুঁজিকে জয়ের জন্য যথেষ্ট মনে করছে হোমটিম। সিদ্ধান্তে ইতিবাচকই থাকলেন রোহিতরা। চায়ের বিরতির প্রায় ঘণ্টাখানেক আগে ডিক্লেয়ারের মধ্যেই তা প্রতিফলিত। বোঝাই যাচ্ছিল, অহেতুক ম্যাচ দীর্ঘায়িত করার কোনও ইচ্ছা নেই টিম ম্যানেজমেন্টের।
টেস্ট কেরিয়ারের ষষ্ঠ শতরানে পৌঁছতে ঋষভ নিলেন ১২৪ বল। পঞ্চাশ পূর্ণ করতে নিয়েছিলেন ৮৮ বল। অর্থাৎ, পরের ফিফটি এল ৩৬ বলে। ১০৯ রানের মারমার কাটকাট ইনিংস সাজানো থাকল ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কায়। কামব্যাক টেস্টে রীতিমতো মেজাজেই দেখা গেল তাঁকে। কখনও স্পিনের বিরুদ্ধে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে একহাতের ফলোথ্রু’তে মারলেন ওভারবাউন্ডারি। আবার কখনও বিপক্ষের হয়ে ফিল্ডিং সাজিয়ে দিলেন ব্যাটিংয়ের সময়! ৭২ রানের মাথায় তাঁর তোলা লোপ্পা ক্যাচ ফেলে যেন সেই ঋণই শোধ দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর প্রথম টেস্টে নেমেই পন্থের দুরন্ত সেঞ্চুরি যথার্থ অর্থেই হয়ে উঠল জীবনের জয়গান।
গিল অবশ্য অগলেন ধীরেসুস্থে। তাঁর পঞ্চম টেস্ট শতরান এল ১৬১ বলে। শেষ পর্যন্ত ১১৯ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি। মারলেন ১০টি চার ও চারটি ছক্কা। বেশ জমাট দেখাচ্ছিল তাঁকে। পন্থ ফেরার পর লোকেশ রাহুলের সঙ্গে অবিচ্ছন্ন পঞ্চম উইকেটে দ্রুত ৫৩ রান যোগ করলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে শূন্যর পরেই সেঞ্চুরি— বিরল দৃষ্টান্তের শরিক হলেন গিল। শুধু তাই নয়, ব্যাটিং অর্ডারে তিন নম্বর পজিশন মজবুত করার নিরিখেও এই ইনিংস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পাঁচশোর উপর টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম উইকেটে জাকির হাসান ও শাদমান ইসলাম তুলে ফেলেছিলেন ৬২। যশপ্রীত বুমরাহই প্রথম আঘাত হানেন। তবে জাকিরের আউটে বড় ভূমিকা থাকল যশস্বী জয়সওয়ালের। সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ের মধ্যে গালিতে দাঁড়ানো যশস্বী বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে একহাতে ক্যাচ ধরেন। এরপর শুধুই অশ্বিন শো। শাদমান ফিরলেন শর্ট মিডউইকেটে গিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপর মোমিনুল হককে অসাধারণ ডেলিভারিতে বোল্ড করলেন অ্যাশ। আর মুশফিকুর রহিম ফিরলেন মিড অনে লোকেশ রাহুলের নেওয়া অসাধারণ ক্যাচে। উইকেট ক্রমশ ভাঙছে। শান্তকে যতই পজিটিভ দেখাক কিংবা সাকিব যতই অভিজ্ঞ হন, টাইগারদের পক্ষে এই ভারতীয় বোলিং আক্রমণকে সামলানো কার্যত অসম্ভবই।