আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
ফ্ল্যাশব্যাকে ফেরা যাক বছর দুয়েক আগের ডিসেম্বরে। দিল্লি থেকে রুরকি যাওয়ার পথে ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। চালকের আসনে থাকা ঋষভ পড়েন প্রাণসংশয়ে। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে বরাতজোরে বেরলেন উদীয়মান তারকা। কপালে রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত শরীর— নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবি দেখে শিউরে ওঠে ক্রিকেট বিশ্ব। জীবনের ইনিংস বুঝি থামতে চলেছে, মনে হয়েছিল স্বয়ং তাঁরই। দেরাদুনের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এয়ারলিফটে মুম্বই। হল একের পর এক অস্ত্রোপচার। মৃত্যুকে ফাঁকি দিয়ে কয়েক মাসের মধ্যেই ক্র্যাচ বগলে নিয়ে শুরু করে দিলেন রিহ্যাব। প্রবল হতাশায় নুয়ে পড়েও ফের উঠে দাঁড়ালেন। টলমল পায়ে হাঁটার চেষ্টা। চোয়ালচাপা প্রতিজ্ঞায় উদ্দীপ্ত করেছেন নিজেকে।
একসময় মনের আনাচে-কানাচে অবশ্য উঠত প্রশ্ন। ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করেই ফেলেছিলেন, আর কতদিন লাগবে? উত্তর এসেছিল, আরও ১৬-১৮ মাস। মানতে পারেননি তিনি। বলে ওঠেন, তার অন্তত ছ’মাস আগেই ফিরব। ফিরেওছেন। ঋষভের অস্বাভাবিক দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠায় চমকে যান স্বয়ং ডাক্তারই। চ্যাম্পিয়নরা তো এমনই হন। চুরমার করেন প্রচলিত ধ্যানধারণা। চেন্নাইয়ে যেমন সাকিব, মিরাজদের যাবতীয় পরিকল্পনা তালগোল পাকিয়ে দিলেন রকমারি স্ট্রোকে!
মেরিনা বিচ থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বের স্টেডিয়াম সেজন্যই হয়ে উঠছে সাধনায় সিদ্ধিলাভের মঞ্চ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য আগেই ঘটেছিল প্রত্যাবর্তন। কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে বিশ্বজয়ের স্বাদও মিলেছে। কিন্তু সেঞ্চুরি আসেনি। টেস্ট কামব্যাকেই তা এল। ক্রিকেটে জেতা-হারা, সাফল্য-ব্যর্থতা, রান আর উইকেটের তথ্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে ব্যাট আর বলের টক্করে তার বাইরেও একটা আলাদা জগত রয়েছে। কখনও কখনও তা শেখায় বাঁচার মন্ত্র। হয়ে ওঠে হার না মানা চেতনার জলজ্যান্ত প্রতীক। চিহ্নিত হয় ‘হিউম্যান স্পিরিট’ নামে। প্রবল দুঃসময়, চরম ধাক্কা, অতলান্ত খাদ পেরিয়ে হৃদয়ে গেঁথে দেয় ঘুরে দাঁড়ানোর তাগিদ। পন্থের ইনিংস ওড়াল জীবনের সেই ঝলমলে পতাকাই।