আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
৪-৩-৩ ফর্মেশনে একটি বদল আনেন সাদা-কালো কোচ চেরনিশভ। সিজারের বদলে স্ট্রাইকার হিসেবে প্রথম একাদশে রেখেছিলেন ফ্রাঙ্কাকে। আর তাতে আরও ক্ষুরধার দেখাল মহমেডান আক্রমণ। প্রথম পাঁচ মিনিট গোয়াকে মেপে নেন আদজারা। এরপর পেন্ডুলামের মতো কাসিমভ দুলতেই গোয়ার মাঝমাঝ ছন্নছাড়া। তিনি ও অ্যালেক্সিস দুই প্রান্তে খেলা ছড়িয়ে দিতে গতি নেয় সাদা-কালো ব্রিগেডের আক্রমণ। জয় গুপ্তাকে কার্যত জমি ধরিয়ে দিলেন রেমসাঙ্গা। ব্রাজিলের ফ্রাঙ্কা প্রথমার্ধেই নায়ক হতে পারতেন। ২৫ মিনিটে রেমসাঙ্গার পাস ধরে ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে নেওয়া তাঁর জোরালো শট ক্রসপিসে ধাক্কা খায়। ফ্রাঙ্কার চোরা গতি আর টুকরো কাজ আছে। এরপর ফ্রি-কিক থেকে অ্যালেক্সিসের শট ফিস্ট করে বাঁচান গোয়া গোলরক্ষক কাট্টিমণি।
বিরতির পর প্রেসিং ফুটবলে মহমেডান রক্ষণে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে গোয়া। তবে লাভ হয়নি। এই পর্বে ফের দু’টি সুযোগ খোয়ালেন ফ্রাঙ্কা। প্রথমটি, তার গায়ে লেগে গোলমুখে যাওয়া বল বাঁচালেন বিপক্ষ গোলরক্ষক। এরপর মাকনের করা মাইনাসে প্লেসিংয়ে ব্যর্থ ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। গোলের লকগেট খোলে ৬৫ মিনিটে। বক্সের মধ্যে ফ্রাঙ্কাকে ফাউল করেন ওডেই। পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার বল তুলে দেন অ্যালেক্সির হাতে। স্পটকিক থেকে জাল কাঁপিয়ে আর্জেন্তাইন অ্যাটাকার লক্ষ্যভেদ উৎসর্গ করলেন সন্তানসম্ভাবা স্ত্রীকে (১-০)। শেষদিকে সবাই যখন ধরে নিয়েছেন জয় নিশ্চিত, তখনই ছন্দপতন। আকাশ সাঙ্গোয়ানের সেন্টারে চিলের মতো ছোঁ মেরে হেড করে হিসেব গুলিয়ে দিলেন সাদিকু (১-১)। দায় এড়াতে পারেন না দুই ডিফেন্ডার জোসেফ এবং গৌরব।
মহমেডান স্পোর্টিং: পদম, আদিঙ্গা, জোসেফ, গৌরব, জুডিকা, অ্যালেক্সিস (আঙ্গুসানা), কাসিমভ, অমরজিৎ (লালরিনফেলা), মাকন (বিকাশ), ফানাই এবং ফ্রাঙ্কা (সিজার)।
(অ্যালেক্সিস) (সাদিকু)