আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
কুয়াদ্রাতের কোচিংয়ে ১২ বছর পর সর্বভারতীয় ট্রফি জিতেছে ইস্ট বেঙ্গল। কিন্তু বছর ঘোরার আগেই সমালোচনায় বিদ্ধ সমর্থকদের ‘প্রফেসর’। এসিএল-টু’এর বাছাই পর্ব হোক বা ডুরান্ড কাপ, ব্যর্থতাই ইস্ট বেঙ্গলের সঙ্গী। টিম ম্যানেজমেন্টের ধারণা, একটা জয় পরিস্থিতি পাল্টে দেবে। যে কোনও মূল্যে তাই তিন পয়েন্ট তুলে নিতে চান লাল-হলুদ সারথি। দ্রুত লক্ষ্যভেদে প্রাথমিক চাপ কাটানোই তাঁর লক্ষ্য। গতবার আইএসএলের অ্যাওয়ে ম্যাচে ৪-২ গোলে জয় পায় ইস্ট বেঙ্গল। তুলনায় কুয়াদ্রাতের এবারের স্কোয়াড অনেক শক্তিশালী। তার উপর কেরলের দুই বিষদাঁত জিকসন আর দিয়ানমানতাকোসকে উপড়ে নিয়েছে ইস্ট বেঙ্গল থিঙ্কট্যাঙ্ক। চেনা পরিবেশে নিজেদের প্রমাণ করতে মুখিয়ে তাঁরা। অহেতুক তাড়াহুড়ো নয়। বরং বল হোল্ড করে পাসিং ফুটবল উপহার দেওয়াই স্প্যানিশ কোচের লক্ষ্য।
৪-৫-১ ফর্মেশন কুয়াদ্রাতের ফেভারিট। সিঁড়িভাঙা অঙ্কের মতো তা বদলে যায় ৪-২-৩-১ ফর্মুলায়। কেরলের দুর্গ ভাঙতে দ্বিতীয় পন্থা অবলম্বন করতে পারেন তিনি। রক্ষণে রাকিপ, আনোয়ার, ইউস্তের সঙ্গী হতে পারেন মার্ক জো। লাল-হলুদ জার্সিতে অভিষেকের অপেক্ষায় আনোয়ার। আইএসএল ফাইনালের পর ফের ক্লাব ফুটবলে ফিরছেন তিনি। আনোয়ারের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল লাল-হলুদ ডিফেন্স। উইং ব্যাক রাকিপ পুরো ফিট নন। চোট চাগাড় দিলে রক্ষণের শেপ ভাঙতে হবে কুয়াদ্রাতকে। মাঝমাঠে অপশন প্রচুর। ডিফেন্সিভ ব্লকার জিকসনের সঙ্গে বক্স টু বক্স মিডিও সাউল ক্রেসপো। দুই উইং হাফ নন্দকুমার আর মহেশ সিং। সিঙ্গল স্ট্রাইকার দিয়ামানতাকোসকে রেখে উইথড্রল স্ট্রাইকারের ভূমিকায় থাকবেন তালাল। ফরাসি ফুটবলার এই দলের তুরুপের তাস। বল ফিডের গুরুদায়িত্ব তাঁর কাঁধে। তালাল, দিয়ামানতাকোস, সাউল— এই ত্রিভুজ ক্লিক করলে চিন্তা কমবে কুয়াদ্রাতের।
কেরল ব্লাস্টার্সও খুব ভালো জায়গায় নেই। হোম ম্যাচে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়ে তারা। চোটের কারণে অনিশ্চিত আদ্রিয়ান লুনা। দলের সেরা অস্ত্র উইং-হাফ নোয়া সাদিউ। কাট করে ঢুকে লক্ষ্যভেদে সিদ্ধহস্ত তিনি। নোয়াকে স্পেস দিলে সমস্যায় পড়বে ইস্ট বেঙ্গল।
সম্ভাব্য একাদশ: গিল, রাকিপ, আনোয়ার, হেক্টর, মার্ক, জিকসন, সাউল, নন্দ, তালাল, মহেশ ও দিয়ামানতাকোস।
ম্যাচ শুরু সন্ধ্যা ৭-৩০ মিনিটে। সম্প্রচার স্পোর্টস ১৮ চ্যানেলে।