নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: জমির রাজস্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া আরও সরল করল রাজ্য সরকার। ডবল ভেরিফিকেশনের বদলে সিঙ্গল ভেরিফিকেশনেই কাজ হবে। তার জন্য শুধুমাত্র মোবাইলে আসা ওটিপি দিলেই কাজ হবে বলে জানা গিয়েছে। এতদিন মোবাইল নম্বরে আসা ওটিপির পাশাপাশি মেলে আসা ওটিপি জানাতে হতো। কিন্তু এখন মেলে আসা ওটিপির দরকার পড়বে না বলে জানানো হয়েছে। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, রাজস্ব দিতে আসা ব্যক্তির নিজস্ব মেল আইডি নেই। আবার মেল আইডি থাকলেও তাতে ওটিপি আসতে সমস্যা হয়। যার জন্য রাজস্ব জমা করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হতো জামির মালিকদের। এই সিঙ্গল ভেরিফিকেশনের ফলে রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়াও দ্রুত হবে। নদীয়া জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) প্রলয় রায়চৌধুরী বলেন, ভূমি রাজস্ব দেওয়ার ব্যাপারে সাধারণ মানুষের যাতে সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারে রাজ্য সরকার কাজ করছে। মানুষ যাতে বিনা ঝক্কিতে রাজস্ব দিতে পারে তার জন্য কাজ করছি আমরা। এবার শুধুমাত্র মোবাইল ওটিপির মাধ্যমেই রাজস্ব দেওয়া যাবে। এতে ইমেল আইডির যে সমস্যা ছিল তা অনেকটাই মিটে যাবে। ২০২২ সালে রাজ্য ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের থেকে অনলাইন খাজনা আদায়ের ব্যবস্থা চালু করা হয়। বাংলার ভূমি পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইন খাজনা আদায় প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু তাতে বেশ কিছু পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল। যার ফলে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ রাজস্ব দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তেন। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সেই নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেখানে পোর্টালের মাধ্যমে রাজস্ব দেয়ার জন্য ইমেল আইডি বাধ্যতামূলক থাকছে না। ফোনে আসা ওটিপির মাধ্যমে পোর্টালে লগ ইন করা যাবে। তারপর রাজস্ব দিতে পারবেন। এতদিন ইমেল আইডিতেও আলাদা ওটিপি আসত। মোবাইল এবং ইমেল আইডির ওটিপি ম্যাচ করলে তবেই লগ ইন করে রাজস্ব দেওয়া যেত। এবার সেই বাধ্যবাধকতা তুলে নিচ্ছে রাজ্য সরকার। অবাস্তু, অকৃষি, বাণিজ্যিক কাজের জন্য জমির রাজস্ব দেওয়ার ব্যাপারে এই ব্যবস্থা চালু থাকবে।