জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
পশ্চিম বর্ধমানে তীব্র গরমের কারণে এখন মর্নিংস্কুল হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে। এদিন, সকাল ন’টা নাগাদ ভিড় বাড়তে থাকে ধবনী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে। সবার হাতে প্ল্যাকার্ড। তাতে লাল কালিতে লেখা, ‘ক্লাস না করে বেতন তোলা মানছি না মানব না।’ অন্যটিতে লেখা,‘নারী নির্যাতনকারী শিক্ষক দূর হটো।’ ভিড় বাড়তেই স্কুলের গেটে ভেতর থেকে তালা ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। আন্দোলনকারীরা গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের অভিযোগ, ডিএ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ এই স্কুলের সহ শিক্ষক। তাঁকে টিভির পর্দায় দেখা গেলেও স্কুলে দেখা যায় না। একজন শিক্ষক দীর্ঘদিন স্কুলে না আসার জন্য পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে।
বিক্ষোভরত অভিভাবক পম্পা বাগচি বলেন, ‘আমার মেয়ে ক্লাস ওয়ানে পড়ে। ভাস্কর স্যারকে মাসে এক, দু’বার দেখা যায়। কেন এমন হচ্ছে?’ গ্রামের বাসিন্দা অমিতা ঘোষ বলেন, ‘উনি কলকাতায় নিজেদের টাকা পাওয়ার জন্য আন্দোলন করবেন। আর আমাদের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করার সুযোগ পাবে না। এটা কেমন বিচার?’
বিক্ষোভে শামিল উত্তম হাজরা বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করার পর স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলছেন একজন শিক্ষক নিজের শিক্ষক জীবনে মোট ১৮০ টি কমিউটেড লিভ পান। তিনি এক বছরেই নাকি ১৪২টি ছুটি নিয়ে নিয়েছেন।’
প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে স্কুলের গেটের সামনে বিক্ষোভ চলতে থাকে। এদিন অবশ্য স্কুলে এসেছিলেন ভাস্করবাবু। গেটে তালা দিয়ে দুই শিক্ষিকা দাঁড়িয়ে থাকলেও তিনি ক্লাস রুমের বাইরে বের হননি। পরে পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান রথীন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, ‘শুধু স্কুলে বিক্ষোভ নয়, আমার কাছে গ্রামবাসীরা জোট বেঁধে ভাস্কর ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। আমি পুরো বিষয় সংশ্লিষ্ট স্কুল ইনস্পেক্টরকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছি।’
শিক্ষক নেতা ভাস্কর ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘আমাদের ২১ বছরের চাকুরি জীবনে জমা ছুটি থেকে ১৪২টি কমিউটেড লিভ ও ১৫টি মেডিক্যাল লিভ নিয়েছি দেড় বছরে। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তা নিয়েছি। এটা অভিভাবক বা স্থানীয়দের আন্দোলন ছিল না। তৃণমূল বাইরে থেকে লোক এনে এই আন্দোলন করিয়েছে। আমাদের আন্দোলন এভাবে দমানো যাবে না।’