আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, পলাশীপাড়া এলাকার বড় নলদহ, কুলগাছি, পলশন্ডা সহ বিভিন্ন এলাকায় মাদকের রমরমা ব্যবসা চলে। কয়েক দিন আগে শুল্কদপ্তর বড় নলদহতে তল্লাশি অভিযানে এসে আক্রান্ত হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আবার মাদক সহ গ্রেপ্তার হয় এক কলেজ পড়ুয়া। বড় নলদহ থেকে হেরোইন তৈরি করার সময় হাতে নাতে ধরা পড়ে সে। কিছু দিন আগেও পুলিসের হাতে মাদক সহ ধরা পরেছিল এক যুবক। তেহট্ট থানার বেতাই এলাকায় অবৈধ কাশির সিরাপ সহ দুজনকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। তারমধ্যে একজন নাবালক ও অন্যজনের বয়স সবে আঠারো পার হয়েছে। পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে, এখন মাদক কারবারিরা অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। তাই তাঁরা নাবালক, যুবক ও কলেজ পড়ুয়া ছেলেকেও কাজে লাগাতে দ্বিধা করছে না। ওই কলেজ পড়ুয়া ও যুবকদের জেরা করে পুলিস জানতে পারে, মাদক কোনও একজনকে পৌঁছে দিতে পারলেই পাঁচশো টাকা মেলে। কলেজ পড়ুয়ারা সেই টাকার লোভে মাদক পাচার পুলিসের সন্দেহ এড়ানো সম্ভব। সেই সঙ্গে খরচও কম। মাদক কারবারিদের একজন প্রকৃত ক্যারিয়ারকে নিয়োগ করতে হলে বেশি টাকা দিতে হয়। কলেজ পড়ুয়াদের কাজে লাগালে অত বেশি টাকা দিতে হয় না। ফলে মুনাফাও জোটে অনেক বেশি।
মহকুমা পুলিস আধিকারিক শুভতোষ সরকার বলেন, আমরা জানি যে নিয়মিত তল্লাশির জেরে কারবারিরা ক্যারিয়ার পাল্টেছে। এখন তো কলেজ পড়ুয়া ও যুবকদের কাজে লাগাতে শুরু করেছে তারা। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি। কোনও রকম সন্দেহ জনক কিছু দেখলেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নেব।