আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
মৃতের স্ত্রী সোনালী দেবনাথ বলেন, আমার স্বামীর বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর লক্ষ্মীপুরে। দু’বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়। আমার আগের পক্ষের দু’টি সন্তান আছে। স্বামীকে নিয়ে মহেশগঞ্জে আমার বাবার বাড়িতে থাকতাম। স্বামী কখনও রাজমিস্ত্রির, কখনও বাড়ি বাড়ি জল দেওয়ার কাজ করতেন। নেশাভাঙ করতেন বলে বাড়িতে ঠিকমতো টাকা দিতেন না। তা নিয়ে প্রায়ই বাড়িতে অশান্তি হতো।
তাঁর দাবি, বুধবার রাতে অমিত অসুস্থ বোধ করছিলেন। নেশা করে থাকায় কিছুক্ষণ অশান্তি হয়। তারপর অমিত বলেন, তিনি বাবা-মার কাছে চলে যাবেন। মাঝরাতে ফোনে মায়ের সঙ্গে কথাও বলেন। ভোর চারটের সময় বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সকালে তাঁর মা ফোন করলে সোনালিদেবী অমিতের চলে যাওয়ার কথা জানান। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে খবর দেন, গোপাল মন্দিরের পাশে আমগাছে অমিতের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে।
অমিতের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর মা আরাধনা প্রামাণিক ও অন্য আত্মীয়রা নবদ্বীপ থানায় আসেন। আরাধনাদেবী বলেন, আমার ছেলে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। এদিন সকালে অমিতের স্ত্রী ফোনে জানায়, আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে। আমার অনুমান, বউমা ও তার দাদা আমার ছেলেকে খুন করেছে। এদিন আরাধনা দেবী নবদ্বীপ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এদিন দুপুরে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।