সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: খেলার সময় শিশুদের ঝগড়ার জেরে বিষ্ণুপুরের ভালুকা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে মারপিট হয়। তাতে এক কলেজ ছাত্রী সহ একই পরিবারের চারজন জখম হয়েছেন। তাঁদের বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতদের নাম আতাবুদ্দিন খান ও আলিমুদ্দিন খান। তাদের বাড়ি ভালুকা গ্রামেই। পুলিস জানিয়েছে, ভালুকা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পুরনো শত্রুতা ছিল। শিশুদের খেলার সময় ঝগড়ার জেরে দু‌ই পরিবারের লোকজন বচসায় জড়ান। তারপরই দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট হয়। একপক্ষ রড ও লাঠি দিয়ে অন্যপক্ষের লোকজনকে প্রচণ্ড মারধর করে। জখম দু’জনের আঘাত গুরুতর। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।  
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভালুকা গ্রামে আলিবুদ্দিন খান ও রবিয়াল খান নামে প্রতিবেশী দুই পরিবারের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিবাদ ছিল। বুধবার বাড়ির পাশে দুই পরিবারের শিশুরা কিছু হ্যান্ডবিল নিয়ে খেলছিল। সেগুলি ফেলে দেওয়া নিয়ে দুই শিশুর মধ্যে ঝামেলা হয়। তাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের লোকেদের মধ্যে বচসা হয়। অভিযোগ, এরপরই দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট হয়। তাতে রবিয়াল সহ তাঁর পরিবারের চারজন জখম হন। তাঁর মেয়ে কলেজছাত্রী সেলিমা খানও জখম হয়েছেন। তাঁদের বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেলিমা বিষ্ণুপুর থানার পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মূল অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে।  
এদিন হাসপাতালের বেডে শুয়ে রবিয়াল বলেন, কয়েকটা হ্যান্ডবিল নিয়ে শিশুরা ঝগড়া করছিল। তা নিয়ে বলতে যাওয়াতেই আমাদের প্রচণ্ড মারধর করা হয়। তবে এনিয়ে আলিবুদ্দিনের পরিবারের কেউ মুখ খুলতে চাননি।