জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
কান্দি থানার পুরন্দরপুর ও খড়গ্রাম থানার ধামালিপাড়ার মাঝ বরাবর চলে গিয়েছে ওই নদী। নদীর উত্তরে রয়েছে লক্ষ্মীনারায়ণপুর, রায়পুর, ফকিরপাড়া সহ প্রায় ৩০টি গ্রাম। এছাড়াও খড়গ্রাম ব্লকের মাড়গ্রাম ও খড়গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারাও ওই নদী পেরিয়ে যাতায়াত করেন। আবার নদীর দক্ষিণে রয়েছে কান্দি শহর। ওই এলাকার অসংখ্য ছাত্রছাত্রীকে কান্দিতে পড়াশুনার জন্য আসতে হয়। স্কুল কলেজ মিলিয়ে হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী কান্দিতে পড়াশুনা করেন। এছাড়াও খুব অল্প সময়ে বাসিন্দারা কান্দি মহকুমা হাসপাতালে আসতে পারেন।
কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কানা ময়ূরাক্ষী নদী। বছরের অন্য সময় নদীর গর্ভে নির্মিত একটি ছোট আকারের ঢালাই রাস্তা ব্যবহার করতে পারলেও বর্ষার চারমাস নৌকা ছাড়া উপায় নেই। হাতে টানা নৌকায় ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করতে হয় বাসিন্দাদের। রায়পুর গ্রামের বাসিন্দা উত্তম মণ্ডল বলেন, ওই কানা ময়ূরাক্ষী নদীই আমাদের উন্নতিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহু বছর ধরে আমরা প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে আবেদন করেছি। আন্দোলনেও নেমেছি। কিন্তু দাবি পূরণ হয়নি।
এদিকে এবারের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় স্থানীয় জঙ্গিপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী খলিলুর রহমান যে গ্রামেই গিয়েছেন, সেখানে বাসিন্দারা একটাই প্রতিশ্রুতি চেয়েছেন, কানা ময়ূরাক্ষী নদীর উপর ব্রিজের। খলিলুর দাবি মেটানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন।
এবার তিনি ফের এলাকায় সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় ব্রিজের দাবি আরও জোরালো হয়েছে। ধামালিপাড়ার বাসিন্দা ফকির আলি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর কাছে প্রতিটি গ্রামের মানুষ শুধুমাত্র ব্রিজের দাবি রেখেছিলেন। আমরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি। এবার আমরা চাইব, সাংসদ তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন। খলিলুর জানান, প্রতিশ্রুতির কথা মনে রয়েছে। এর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব।
এদিকে নদীর অপর পাড়ে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থাকার কারণে বাসিন্দাদের একাংশ চাইছেন যে, দুই সাংসদ একসঙ্গে ব্রিজের জন্য চেষ্টা করলে ভালো হয়। এবছর এই লোকসভা কেন্দ্রে ঘাসফুলের প্রার্থী ইউসুফ পাঠান জয়ী হয়েছেন। এক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের মুর্শিদাবাদ বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, সবার আগে আমরা চেষ্টা করছি, যাতে এই এলাকার লোহাদহ ব্রিজ করা যায়। আসলে গুরুত্ব বুঝে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে জঙ্গিপুর সাংসদের সঙ্গে কথা বলা হবে।