কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
এদিনের আক্রান্তের ফলে বাঁকুড়া জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩০৩। এই সময়ে আরও ১০ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। মোট ৫৭ জন এখনও কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে নির্দিষ্ট দিন পেরিয়ে যাওয়ায় জেলায় কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমে হল ১৬টি। যার মধ্যে বাঁকুড়া পুর এলাকায় রয়েছে দু’টি এবং বিষ্ণুপুর পুর এলাকায় আছে একটি। বাকি ১৩টি জোন রয়েছে গ্রামীণ এলাকায়। বাঁকুড়া শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ফাঁসিডাঙার পাশাপাশি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের হরীতকী বাগান এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। বাঁকুড়ায় এসবিএসটিসির বাস ডিপোও কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় রয়েছে।
অন্যদিকে, বিষ্ণুপুর শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালগঞ্জ এলাকায় এক যৌনকর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ওই এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। এছাড়াও বাঁকুড়া-১ ব্লকের আঁচুড়ি, জগদল্লা, জুনবেদিয়া, কালোপাথর, বড়জোড়া ব্লকের পখন্না, খাতড়ার গুরুসদয় মঞ্চ সংলগ্ন এলাকা কোর্ট রোডসংলগ্ন এলাকা, রানিবাঁধ ব্লকের বারিকুল, সারেঙ্গা ব্লকের বিক্রমপুর, রাইপুর ব্লকের মটগোদা, ফুলকুসমা, ইন্দপুর এবং ইন্দাসের আকুই ও বিষ্ণুপুরের মড়ার কয়েকটি গ্রামকে কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। যদিও কন্টেইনমেন্ট জোন এলাকাগুলিতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই সাধারণ মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অধিকাংশ মানুষেরই মুখে থাকছে না মাস্ক। যদিও প্রশাসনের দাবি, রাজ্যের নির্দেশ মেনে সবকটি কন্টেইনমেন্ট জোনে কড়া লকডাউন পালন করা হচ্ছে।
এদিকে, আরামবাগ মহকুমাতেও নতুন করে আরও ছ’জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। তাঁদের বাড়ি আরামবাগ ব্লকের মথুরডাঙায়। এছাড়াও খানাকুল-১ ব্লকের ঘোষপুর, গোঘাট-১ ব্লকের বালি ও পুরশুড়া ব্লকের ভাঙামোড়া এলাকার একজন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে তাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। প্রশাসনের কর্তারা এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও তাঁরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে আইএলআই (ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস) উল্লেখ রয়েছে। অর্থাৎ, তাঁদের শারীরিক অসুস্থতা থাকায় করোনা পরীক্ষা করা হয়। মহকুমায় লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের।