কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
বিক্ষোভকারীদের দাবি, বালি এবং পাথর ভর্তি প্রতিটি ট্রাক পিছু সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা তোলা নেওয়া হয়। তার বিনিময়ে তারা ‘প্যাড’ (বিশেষ ছবি আঁকা রসিদ) দেয়। এই প্যাড না নিলে কোনও ট্রাক ছাড়া হয় না। রাস্তার ধারে লাঠি হাতে তোলাবাজরা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ট্রাকে প্যাড আছে কিনা তা তারা চেক করে। তাদের এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কোনও চালক এগিয়ে গেলে তারা বাইক বা চার চাকার গাড়ি নিয়ে ধাওয়া করে। আবার কোনও চালক টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে ট্রাক থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়।
সাগরদিঘি থানার পুলিসের সামনেই তোলাবাজি চলে বলে বিক্ষোভকারীরা এদিন প্রকাশ্যে অভিযোগ করে। তাদের দাবি, এক প্রভাবশালী গোরু পাচারকারীর মদতেই টাকা তোলা হচ্ছিল। এলাকায় তার দাপট এতটাই যে সাগরদিঘি থানার পুলিসও তার লোকজনদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস দেখায় না। কেউ প্রতিবাদ করলেই তোলাবাজরা হুঙ্কার দেয় ‘আমরা সোনার বাংলার লোক’।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোড়গ্রামের কাছে বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদের সংযোগকারী তেলঙ্গোল সেতুতে কয়েকদিন ধরে সংস্কারের কাজ চলছিল। সেকারণে ১০-১২ দিন ধরে ট্রাক চলাচল বন্ধ ছিল। পাঁচদিন আগে সেতু সংস্কারের কাজ শেষ হয়। ফের ট্রাক চলাচল শুরু হয়। তারপরেই ‘প্যাড পার্টি’ সক্রিয় হয়ে ওঠে। প্রতিটি ট্রাকেই ওভারলোড থাকে। কিন্তু ওই প্যাড চালকের হাতে থাকলে মাঝ রাস্তায় কেউ ট্রাক দাঁড় করায় না। এক বিক্ষোভকারী বলেন, প্যাডের তিনরকম রেট রয়েছে। সর্বনিম্ন রেট আড়াই হাজার টাকা। সর্বোচ্চ রেট চার হাজার টাকা। করোনার জন্য ব্যবসা এমনিতেই লাটে উঠেছে। তারপরে এত বেশি টাকা দিয়ে প্যাড কিনতে হওয়ায় অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। দিনেরবেলা মাঝ রাস্তায় ট্রাক দাঁড় করিয়ে তোলা তুললেও কেউ বাধা দেয় না। বিকাশ দুবের মতো এই জেলার এক পাচারকারীর হাত তাদের মাথার উপর রয়েছে। সেকারণেই তারা এতটা সাহস পেয়ে যাচ্ছে। আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, ট্রাকগুলি ওভারলোডে চলে এটা ঠিক। কিন্তু অতিরক্ত পণ্য না তুললে ট্রাক চালানো যাবে না। বালি বা পাথরের গাড়ি পিছু বিভিন্ন জায়গায় টাকা দিতে হয়। ওভারলোড না থাকলেও তাদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে হয়। এই টাকা আসবে কোথা থেকে। সেকারণে অধিকাংশ মালিকই অনিয়ম করে। তোলাবাজরা কাউকে পরোয়া করে না। আর পারা যাচ্ছিল না। তাই সবাই একজোট হয়ে প্রতিবাদ করে। প্রয়োজনে আগামী দিনেও একইভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাব। অন্যদিকে জেলার বাসিন্দাদের দাবি, অতিরিক্ত সামগ্রী নিয়ে ট্রাকগুলি যাতায়াত করার ফলে রাস্তারও দফরফা হয়ে যাচ্ছে। তাই এই অনিয়মেও তারা রাশ টানার দাবি তুলেছেন।