কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
মার্চ মাসের শেষ দিকে দাসপুর-১ ব্লকে নিজামপুর এলাকায় প্রথম একজন পরিযায়ী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হন। এপ্রিল মাসে জেলায় খুব বেশি আক্রান্ত হননি। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভিনরাজ্য থেকে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরতে শুরু করেন। পরিযায়ীদের হাত ধরেই জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে শুরু করে। ১০ জুলাই পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮৬ জন। যদিও এরমধ্যে ৩০০ জনের বেশি এখন সুস্থ। অনেকে সুস্থ হয়ে নিজের এলাকায় কাজ শুরু করেছেন। জেলায় বেশি আক্রান্তদের মধ্যে দাসপুর-১ ও ২, ঘাটাল, কেশপুর, খড়্গপুর শহর ও আশপাশের গ্রামীণ এলাকা রয়েছে। যেসব ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি রয়েছে, সেই এলাকার করোনা জয়ীদের আগে চিহ্নিত করা হবে। শুক্রবারের জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই প্রথম পর্যায়ে বেশি আক্রান্ত ব্লকগুলিতে ক্লাব গঠন করা হবে। আপাতত বেশি আক্রান্ত ব্লকগুলিতে চার-পাঁচজনের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ জন করোনা জয়ীদের নিয়ে জেলায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা করোনা জয়ীদের প্রশিক্ষণ দেবেন। পরবর্তীকালে করোনা জয়ীরা নিজেদের ব্লকে গিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করবেন। তাঁদের সঙ্গে পুলিস-প্রশাসন, ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীরা থাকবেন।
স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, জেলায় করোনা জয়ীদের তালিকা সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্স, জনপ্রতিনিধি, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। ক্লাবের তালিকায় তাঁদের সকলকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। করোনা হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের কাউন্সেলিং করার জন্য ক্লাবের সদস্যদের বড় ভূমিকা থাকবে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লক, মহকুমা ও জেলাস্তরে কমিটি গঠন করা হবে। জেলার বেশি আক্রান্ত ব্লকগুলিতে ক্লাব গঠনের পর পরবর্তীকালে অন্য ব্লকগুলিতেও এই ক্লাব তৈরি করা হবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, করোনা জয়ীদের নিয়ে ক্লাব গঠনের জন্য রাজ্য থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনেই এবার ক্লাব গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ক্লাবের সদস্যদের মাধ্যমে জেলাজুড়ে প্রচুর সচেতনতামূলক কাজ করা হবে।