কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, লকডাউন ও তার পরবর্তীকালে বেসরকারি স্কুলে ফি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে দুর্গাপুর, আসানসোল, চিত্তরঞ্জন সহ একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন অভিভাবকরা। তাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফি মকুবের দাবি জানিয়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও তাঁদের সঙ্গে শামিল হয়েছে। এনিয়ে আন্দোলন মঞ্চও গড়ে উঠেছে। যদিও নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে অধিকাংশ স্কুল কর্তৃপক্ষও। যার জেরে শিক্ষাক্ষেত্রে অচলাবস্থা সৃষ্টি হচ্ছিল। এনিয়ে বিরোধ বাড়তে থাকায় এগিয়ে এসেছে জেলা শিক্ষাদপ্তর।
অতিরিক্ত জেলাশাসক(শিক্ষা) প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে অভিভাবকদের ফি নিয়ে বিরোধ চলছে। বুধবার সবপক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসছি। তার আগে স্কুলগুলিকে বেতন কাঠামোর বিস্তারিত জমা দিতে বলা হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের একমাত্র শহরকেন্দ্রিক জেলা পশ্চিম বর্ধমান। এখানে দুর্গাপুর, আসানসোলের মতো দুটি মেগা শহরের পাশাপাশি রানিগঞ্জ, বার্নপুর, চিত্তরঞ্জন, জামুড়িয়ার মতো জনপদ রয়েছে। দুর্গাপুরে তো শিক্ষাহাব গড়ে উঠেছে। যার জেরে বিভিন্ন নামী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এই অঞ্চলে তাদের শাখা খুলেছে। তাই লকডাউনে বেসরকারি স্কুলগুলির ফি নিয়ে অসন্তোষের সবচেয়ে বেশি আঁচ পড়েছে এই জেলায়। জেলা প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী এখানে ৩২টি সিবিএসসি বোর্ডের বেসরকারি স্কুল ও ১২টি আইসিএসসি বোর্ডের বেসরকারি স্কুল রয়েছে। বেশিরভাগ স্কুলেই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অভিভাবকদের বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। তাই লকডাউনের পর অভিভাবকদের আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে দুর্গাপুরের বিধাননগর, টাউনশিপ, এমএএমসি এলাকা। বাদ যায়নি আসানসোল, কুলটি, চিত্তরঞ্জনও। বিভিন্ন সময়ে অভিভাবকরা স্কুলের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। কয়েকটি স্কুলের সামনে ধর্নাও চলে। এই অন্দোলনের সমর্থনে সিপিএম বিধায়ক থেকে তৃণমূল কাউন্সিলারও শামিল হয়েছেন। দুর্গাপুরের বিভিন্ন স্কুলের অভিভাবক ফোরাম মিলে দুর্গাপুর স্কুল গার্জেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি গড়ে তোলা হয়েছে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, এই সময়ে স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ। তাহলে কেন ডেভেলপমেন্ট ফি, ইলেক্ট্রিক ফি, ল্যাব ফি সহ অপ্রাসঙ্গিক ফি নেওয়া হচ্ছে। অর্থনীতির বিপর্যস্ত অবস্থাতেও অভিভাবকদের কাছে সময় মতো টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। কিছু কিছু স্কুলের ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠছে যে, গত বছরের থেকে ফি অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর অল্প কিছু কমিয়ে করোনার জন্য ছাড় বলে প্রচার করা হচ্ছে। অভিভাবক সংগঠনের নেতা সৌমিত্র রায় বলেন, আমাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক ডেকেছেন। আশা করি সদর্থক কোনও সিদ্ধান্ত হবে।
যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, এই পরিস্থিতিতে কিছু অভিভাবক কর্মহীন হলে তাঁদের বিষয়টি ভাবনাচিন্তা করা যেতে পারে। কিন্তু সেই সুযোগ সবাই নিতে চাইছেন। প্রতীকী চিত্র