কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
এ বিষয়ে বনদপ্তরের কাটোয়ার ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জার সুকান্ত ওঝা বলেন, গাঙ্গেয় ডলফিন বাঁচাতে আমরা নদীবক্ষে টহল দিচ্ছি। কেউ যাতে ডলফিন হত্যা না করে তারজন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতাও গড়ে তুলছি। বিপন্ন ডলফিনকে বাঁচাতে আমরা সবরকম চেষ্টা করব।
বিলুপ্তপ্রায় গাঙ্গেয় ডলফিনের স্থানীয় নাম অবশ্য শুশুক। গঙ্গা নদীই তাদের বিচরণ ক্ষেত্র। এখন সমগ্র দেশ থেকেই শুশুকের সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। তবে কাটোয়াতে তুলনায় সংখ্যা বাড়ছে এই জলজ প্রাণীর। ডলফিন নিয়ে গবেষণা করা কলকাতার একটি সংস্থা ইতিমধ্যেই কাটোয়া শহরে ডলফিন পর্যবেক্ষণও করেছে। রাজ্য বনদপ্তরের সঙ্গে ওই সংস্থা কাজ করছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে কাটোয়া শহরে ভাগীরথী ও অজয়ের সঙ্গমস্থলে প্রায় ২১টি পুর্ণ বয়স্ক ডলফিনকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। তারা ১১টি বাচ্চার জন্মও দিয়েছে। মোট ৩২টি ডলফিন কাটোয়া শহরে ভাগীরথীতে দেখা যাচ্ছে। গতবছরে সংখ্যাটি ছিল সাত।
ওই সংস্থার সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরি বলেন, আমরা কাটোয়ায় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে গাঙ্গেয় ডলফিন পর্যবেক্ষণ করছি। তাতে যে সংখ্যা দেখা যাচ্ছে তা আমাদের কাছে খুবই আনন্দের। অন্যত্র যখন প্রাণীটির সংখ্যা কমছে তখন কাটোয়াতে ডলফিনের প্রজনন ক্ষেত্র গড়ে উঠছে। আগামীদিনে হয়তো সংখ্যা আরও বাড়বে।
সংস্থার আক্ষেপ, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাঙ্গেয় ডলফিনের খুবই প্রয়োজন। তবে এখন ভাগীরথীতে অসাধু উপায়ে মাছ ধরার জন্যই ডলফিনের সংখ্যা কমছে। চিংড়ি মাছ ধরতে এখন অনেকেই নদীতে বিষ দিচ্ছে। তাছাড়া অনেকে আবার ডলফিন শিকার করছে। এতে করে আগামীদিনে প্রাণীটি বিলুপ্ত হবে।
কাটোয়ায় কেন সংখ্যা বাড়ছে? ওই সংস্থার দাবি, গাঙ্গেয় ডলফিন নদীতে বড় মাছ খেয়ে বেঁচে থাকে। অজয় ও ভাগীরথীর সঙ্গমস্থলে প্রচুর মাছের ঝাঁক ঘোরাফেরা করে। তাই এই অঞ্চলে ডলফিনের খাদ্য ভাণ্ডার গড়ে উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই খাদ্যের সন্ধানেই কাটোয়ায় গাঙ্গেয় ডলফিনেরও আগমন ঘটছে। কেতুগ্রামের কল্যাণপুর থেকে পূর্বস্থলী-২ ব্লক পর্যন্ত ভাগীরথীর প্রায় ৩৬ কিমি এলাকায় তারা ঘুরছে। কাটোয়া শহরে ডলফিন নিয়ে কাজ করা গণেশ চৌধুরির বক্তব্য, আমরা প্রতিনিয়ত গঙ্গাবক্ষে বনদপ্তরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ডলফিন নিয়ে কাজ করছি। ডলফিন বাঁচাতে মৎস্যজীবীদেরও সচেতন করা হচ্ছে। ডলফিনের বিচরণ ক্ষেত্রে কেউ যাতে তাদের বিরক্ত না করে তারজন্য নানা উপায় নেওয়া হবে।