সংবাদদাতা, ঘাটাল ও খড়্গপুর: কেঠিয়া নদীতে তল্লাশি চালিয়েও চন্দ্রকোণার ক্ষীরপাইয়ে পথ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ যুবকের সন্ধান মেলেনি। তাঁর নাম কার্তিক খান(১৮)। রবিবার সকাল থেকে এনডিআরএফের জওয়ানরা দু’টি স্পিড পোস্ট নিয়ে দিনভর নদীতে তল্লাশি চালান। সন্ধ্যা পর্যন্ত কার্তিকের হদিশ পাওয়া যায়নি। চন্দ্রকোণা থানার পুলিস জানিয়েছে, ওই যুবককে খোঁজার জন্য ডুবুরি নামানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঘটনায় জখম এক বাইক আরোহীকে রাতেই ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কার্তিকের বাড়ি দাসপুর থানার দুবরাজপুর গ্রামে। তার মামার বাড়ি চন্দ্রকোণা থানার বালা গ্রামে। ঘাটাল থানার নতুকে তার মাসি বাড়ি। কার্তিক ও তার মামা রাখাল বাগাল শনিবার রাতে নতুকে এসেছিলেন। ওইই রাতে মামাকে বাইকে চাপিয়ে ক্ষীরপাই-চন্দ্রকোণা সড়ক দিয়ে বালা গ্রামে ফিরছিলেন কার্তিক। ক্ষীরপাই দু’ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁরা দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এক লরি চালকের কাছ থেকে রাস্তায় বাইক পড়ে থাকার কথা জানতে পারে ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিস। পুলিস দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে, নদীগর্ভ থেকে ভিজে পোশাকে একজন উঠে আসছেন। তাঁকে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে যাওয়ার পথে রাখালবাবু জানান, বাইকে তাঁর ভাগ্নে কার্তিকও ছিল। তারপর রাতেই পুলিস কেঠিয়া নদীতে খোঁজ চালিয়েও কার্তিকের হদিশ পায়নি। এদিন সকালে এনডিআরএফকে খবর দেওয়া হয়। পুলিসের অনুমান, পিলারে ধাক্কা লাগায় এবং বাইকের গতি বেশি থাকায় দু’জনেই নদীতে পড়ে যান।
এদিকে রবিবার সকালে খড়্গপুর-২ ব্লকের চকগোবিন্দ গ্রামে ম্যাটাডোর উল্টে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম নলিনী নায়েক(৫৫)। বাড়ি পিংলায়। জানা গিয়েছে, পিংলার মুণ্ডুমারি থেকে ম্যাটাডোরে করে কয়েকজন শ্রমিক বাঘাগেড়িয়ায় কাজে যাচ্ছিলেন। চকগোবিন্দের কাছে গাড়িটি উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই নলিনীবাবুর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, এদিন দুপুরে খড়্গপুর শহরের অরোরা গেটের কাছে গাড়ির ধাক্কায় এক অজ্ঞাতপরিচয় বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।