কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭-’১৮ সালে পার্কিং ফি বাবদ আদায় হয়েছিল ১৫ কোটি ৩৭ লক্ষ ৮৫ হাজার ৭৭১ টাকা। সেটাই ২০১৮-’১৯ সালে বেড়ে হয় ১৭ কোটি ৯৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ১৬১ টাকা। পরের বছর আয়ের পরিমাণ কমে হয় ১৬ কোটি ৪৫ লক্ষ ৪২ হাজার ৭৭ টাকা।
পার্কিং বিভাগের কর্তাদের দাবি, লকডাউনের জেরে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের ফি সেভাবে আদায় হয়নি বলেই এই হাল। কিন্তু রিপোর্ট বলছে, শুধু ওই দুই মাস নয়, গত দু’টি অর্থবর্ষের মাসিক হিসেবে অনুযায়ী, ২০১৯-’২০ সালে আট মাস আয়ের পরিমাণ ছিল নিম্নমুখী। মে-জুন, আগস্ট-সেপ্টেম্বর এবং ডিসেম্বর থেকে মার্চ—এই আটমাস লক্ষ্যমাত্রার থেকে দূরে ছিল পার্কিং বিভাগ। করোনা পরিস্থিতির কারণে মার্চ মাসকে ছাড় দিলেও বাকি সাত মাসে পার্কিং থেকে আয় কমেছে কেন, সেই প্রশ্নই বড় হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতির কারণে চলতি আর্থিক বছরের শুরুতেও পার্কিং ফি আদায়ে ধাক্কা খেয়েছে বিভাগ।
পার্কিং বিভাগের আধিকারিকদের কথায়, শহরে বেআইনি পার্কিং যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে রাজস্ব আদায় কমতে বাধ্য। রাজনৈতিক নেতাদের মদতেই কয়েকটি গোষ্ঠী বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি পার্কিং চালাচ্ছে। সেখানে ১০ টাকার বদলে ২০ টাকা বা তারও বেশি নেওয়া হচ্ছে পার্কিং ফি’র নামে। পুরকর্তারা এনিয়ে কিছু বলছেন না, পুলিসও হাত গুটিয়ে নিয়েছে। এভাবে চললে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে কী করে? সম্প্রতি প্রায় ৩০-৩৫টি বেআইনি পার্কিং লটের নাম ট্রাফিক পুলিসের হাতে তুলে দিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছে পুরসভা।