কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
বড়জোড়া উপ ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকায় লেনদেন করা যাচ্ছে না। বিষয়টি জেলা ডাকঘরে জানিয়েছি। সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে জেলা ডাকঘরে গিয়ে কিছুটা কাজ করে আনার চেষ্টা করছি। আশা করছি, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
জেলা ডাকঘরের সিনিয়র পোস্ট মাস্টার নিখিল কর্মকার বলেন, মালিয়াড়া ও বড়জোড়া উপ ডাকঘরের সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
বর্তমানে বাঁকুড়া জেলার অধিকাংশ উপ ডাকঘর কম্পিউটারাইজড হয়েছে। সার্ভার বসিয়ে অনলাইনে উপ ডাকঘরগুলি থেকেই তার আওতায় থাকা ডাকঘরগুলির লেনদেন প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হয়। মালিয়াড়া উপ ডাকঘরের আওতায় পাঁচটি ডাকঘর রয়েছে। যার গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই এখানকার সার্ভারটি বাজ পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। তারপর থেকে মালিয়াড়ার পোস্টমাস্টার বড়জোড়া উপ ডাকঘর থেকেই গ্রাহকদের পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু, গত সপ্তাহে বড়জোড়ার সার্ভারটিও বাজ পড়ে বিকল হয়ে যায়। বড়জোড়া উপ ডাকঘরের আওতায় ছ’টি ডাকঘর রয়েছে। যার গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। কিন্তু, সার্ভার নষ্টের জেরে লিঙ্ক না থাকায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গ্রাহকরা টাকা পয়সা তুলতে বা জমা করতে পারছেন না।
মালিয়াড়ার এক প্রবীণ নাগরিক বলেন, বেশি হাঁটাচলা করতে পারি না। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর এমআইএস’র টাকার উপরেই আমার সংসার চলে। অনেক আগেই আমাদের ডাকঘরে লেনদেন বন্ধ হয়েছে। এখন শুনছি, বড়জোড়াতেও লেনদেন হচ্ছে না। কীভাবে ওষুধ কিনব, আর কীভাবে সংসার চলবে, কিছুই বুঝতে পারছি না। অবিলম্বে পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবি জানাচ্ছি।