কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, প্রায় ৫০ জন করোনা জয়ীকে নিয়ে এদিন ক্লাব গঠন করা হয়েছে। জয়ীরা জেলা বা কলকাতার যে কোনও কোভিড হাসপাতালে পরিষেবা প্রদান সংক্রান্ত পদে কাজ পাবেন। তাঁরা ইচ্ছুক হলে সেই সুযোগ দেওয়া হবে। মাসে ২৬ দিন কাজ করলে সাম্মানিক হিসেবে ১৫ হাজার টাকা রাজ্যের তরফে দেওয়া হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমে এখনও পর্যন্ত ৩১৯ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার হদিশ মিলেছে। যদিও বহু মানুষ ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তাঁদের একাংশকে নিয়েই জেলা প্রশাসন এই কোভিড যোদ্ধা ক্লাব গঠন করেছে। এদিন অনুষ্ঠানে জেলা পুলিস, প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে মনোবল বাড়ানো হয়। পরে করোনা যোদ্ধাদের নিজস্ব মত জানাতে বলা হলে সিউড়ির বাসিন্দা এক প্রৌঢ় বলেন, করোনা পজিটিভ হওয়ার পর প্রশাসন আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। হাসপাতালেও ভালো পরিষেবা পেয়েছি। কিন্তু, প্রতিবেশীদের কাছে আমরা এখনও সন্দেহের তালিকায় রয়ে গিয়েছি। কোথাও কাজ যেমন পাচ্ছি না, তেমনি টাইম কলের জল পর্যন্ত নিতে পারি না। তাই প্রশাসন এব্যাপারে ব্যবস্থা নিলে ভালো হয়। ওই প্রৌঢ়ের অভিযোগ শুনে জেলাশাসক তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা এরকম ঘটনা জানতাম না। আগামীদিনে এরকম কিছু হবে না। পুলিস সুপারও তাঁর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। তবে, এদিন সেখানে আসা করোনা জয়ীরা অনেকেই প্রতিবেশীদের সন্দেহের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
এদিন ক্লাব গঠনের অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের প্রস্তাব শুনে খুশি হন করোনা জয়ীরা। মল্লারপুরের করোনা জয়ী দুই যুবক বলেন, আমরা মুম্বইয়ে কাজ করতাম। এলাকায় কাজ পেলে আর মুম্বই ফিরব না। এদিন কাজের সুযোগের খবর শুনে ভালো লাগল। রামপুরহাটের এক যুবকও জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন, উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছি। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতে কোথাও কাজ পাচ্ছি না। তাই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিলে ভালো হয়।
জেলা প্রশাসনের দাবি, বীরভূমে বোলপুর ও রামপুরহাটে দু’টি করোনা হাসপাতাল রয়েছে। করোনা যোদ্ধা ক্লাবের সদস্যরা সেই দুই হাসপাতালে কাজের সুযোগ পাবেন। তাঁরা অন্য আক্রান্তদের পরিষেবা প্রদানের জন্য এগিয়ে এলেই ব্যবস্থা করা হবে।