বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
বুদবুদ থানার বেলডাঙা গ্রামের বাসিন্দা শেখ জানমল আলম গত শুক্রবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গুর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হন। রক্ত পরীক্ষায় তাঁর শরীরে ডেঙ্গুর জীবাণুর অস্তিত্ব মিলেছে। জানমল চেন্নাইয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। সেখানেই তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। সেখান থেকে বাড়িতে ফেরেন। প্রথমে তাঁকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে দেখানো হয়। পরে তাঁকে গলসির পুরষা হাসপাতালে দেখনো হয়। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমানে নিয়ে আসা হয়। জানমল বলেন, চিকিৎসক আমার ডেঙ্গু হয়েছে বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে, বর্ধমান শহরের শ্যামলালের বাসিন্দা অপর্ণা পাল বৃহস্পতিবার জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি দিন দশেক ধরে জ্বরে ভুগছেন। জ্বর না ছাড়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রক্ত পরীক্ষায় তাঁর ডেঙ্গু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মাধবডিহি থানার দামিন্যার বাসিন্দা সোনালি পাল বেশ কিছুদিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। তাঁকেও স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে দেখানো হয়। শুক্রবার তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। তিনিও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। কালনা থানার মরগাছির বাসিন্দা আয়েশা বিবি মণ্ডল দিন কয়েক আগে জ্বরে আক্রান্ত হন। তাঁকে কালনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তিনিও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। মেমারি থানার জাবুইডাঙার তুলসি মল্লভ দিন কয়েক আগে জ্বরে আক্রান্ত হন। শুক্রবার তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর বিভিন্ন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তবে, তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কি না জানা যায়নি।
হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডাঃ অমিতাভ সাহা বলেন, কয়েকজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের মশারি টাঙিয়ে আলাদাভাবে রাখা হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসায় সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কয়েকজন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদেরও সব ধরণের পরীক্ষা করা হয়েছে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছি।