বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
বোলপুরে সবসময়ই পর্যাপ্ত রক্ত রাখার চেষ্টা করা হয়। তাই অধিকাংশ সময়ই এখান থেকে রামপুরহাট বা সিউড়িতে রক্ত কম পড়লে তা সরবরাহ করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, রোগীর আত্মীয়রা বৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে বোলপুর থেকে রক্ত নিয়ে যায়। মাসখানেক আগে দুর্লভ গ্রুপের রক্ত নিয়ে যায় দুই ব্যক্তি। পরে জানা গিয়েছিল, রোগীর পরিবারের কাছে ২০০০টাকার বিনিময়ে সেই রক্ত তাদের দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনা সামনে আসতেই জানা যায়, দালাল চক্র এই কাজ করছে হাসপাতাল চত্বরে। যারা রোগীর আত্মীয় সেজে ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত নিয়ে গিয়ে তা বিক্রি করছে। তারপর থেকেই নজরদারি চালাচ্ছিল বোলপুর ব্লাড ব্যাঙ্ক ও বীরভূম ভলান্টিয়ার ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। গত শনিবার রাতে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত নিতে আসে উজ্জ্বল দাস ও শম্ভু মাহাত। তাদের দেখেই চিনতে পেরে যান ব্লাড ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষী শেখ ইসমাইল ও কর্তব্যরত চিকিৎসক সুধাকর মণ্ডল। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় শান্তিনিকেতন থানা ও ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনে। অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক নুরুল হক তাদের চেপে ধরলে ওই দুই ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে রক্ত বিক্রি করার কথা স্বীকার করে নেয়। পরে ঘটনাস্থলে শান্তিনিকেতন থানার পুলিস এসে দু’জনকে আটক করে নিয়ে যায়। রবিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধৃতদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, সিউড়ি সদর হাসপাতালে ক্যান্সারে আক্রান্ত এক রোগীর এবি পজিটিভ রক্ত জোগাড় করে দেওয়ার জন্য তাদের সঙ্গে ১০০০টাকায় চুক্তি হয়েছিল। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের তৎপরতায় দালাল চক্রের দু’জনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু, রক্ত নিয়ে এই দালাল চক্রে আরও বড়সড় কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিস।