বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার সায়ন দাস বলেন, অস্থায়ী কর্মীদের সঙ্গে আমাদের সরাসরি সম্পর্ক নেই। কারণ অস্থায়ী কর্মীরা এজেন্সির মাধ্যমে কাজ করেন। তাঁদের সমস্যা এজেন্সির সঙ্গে। তবুও চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে আমরা এজেন্সির সঙ্গে কথা বলেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানিয়েছি।
জানা গিয়েছে, হাসপাতালের বিভিন্ন কাজে ১৪১জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। একটি এজেন্সি তাঁদের নিয়োগ করেছে। তাঁদের মধ্যে এদিন প্রায় শতাধিক কর্মী বেতন ও বোনাসের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান। কারণ, সোমবার ঈদ থাকলেও গত শনিবার পর্যন্ত বেতন পাননি বলে অভিযোগ ওই কর্মীদের। তার প্রতিবাদে এদিন কর্মীরা কর্মবিরতি ঘোষণা করে বিক্ষোভ দেখান। সুপার স্পেশালিটি বিভাগের মূল প্রবেশপথে তাঁরা বসে পড়েন। অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ, ঈদের আগে বেতন ও বোনাস না পেয়ে আমরা রীতিমতো বিপাকে পড়েছি। উৎসব থাকলেও আমরা হতাশায় ভুগছি। জানা গিয়েছে, অস্থায়ী কর্মীরা নিরাপত্তা রক্ষী, ওয়ার্ড বয়ের কাজ করেন।
ওয়ার্ড বয় এবং হাউস কিপিংয়ের সুপারভাইজার মোতাহারুল ইসলাম বলেন, কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী ঈদের বোনাস ও ১০আগস্ট বেতন হওয়ার কথা। কিন্তু, তা কখনোই সঠিক সময়ে হয় না। ঈদের আগে বোনাসও মেলেনি। শনিবার বেতন হওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। সোমবার ঈদ, উৎসবের সময় বেতন না পেয়ে এবার নিরানন্দে কাটবে। অনেকে বেতন ও বোনাস না পেয়ে কেনাকাটা করতে পারেননি। তাছাড়া, কিছুদিন পরই আবার পুজো। ফলে অনিয়মিতভাবে বেতনের ফলে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমাদের দাবি, প্রতি মাসে সঠিক সময়ে বেতন দেওয়া হোক। কর্মীদের পরিবারের কথা ভেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এজেন্সিকে সতর্ক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক।
দুপুর দেড়টা নাগাদ বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। তাঁরা কাজেও যোগ দেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অস্থায়ী কর্মীরা সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। কিন্তু জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল।