আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
শহরের আর এক প্রান্তে স্টেশন রোডে মিলনপল্লি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির এবারের পুজোর থিম ‘সবার উপরে মানুষ সত্য’। ধর্ম নয় মানুষই আসল পরিচয়। এই বার্তা দিতে তারা মণ্ডপ তৈরি করছে গির্জা-মসজিদ ও মন্দির নিয়ে। পুজো কমিটির সম্পাদক নির্ণয় রায় বলেন, এবারে আমাদের পুজো মণ্ডপে পাঁচটি ধাপ থাকবে। সেখানে মন্দির, মসজিদ ও গির্জার পরিবেশ ও দৃশ্য তৈরি করা হচ্ছে। ধর্মান্ধতা নিয়ে সমাজে ভুল বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে। তার বিরুদ্ধে আমাদের এই ভাবনা। আমরা দেখাতে চাইছি জন্মের পর থেকেই শিশুরা কীভাবে ধর্মান্ধতার জালে জড়িয়ে পড়ছে। সে কারণেই মন্দির-মসজিদ-গির্জার পরিবেশ নিয়ে আমাদের পুজোর এই আয়োজন। বাজেট ৩২ লক্ষ টাকা।
এদিকে, মিত্র সম্মিলনির পুজোয় এবারও প্রথা মতো নিজেদেরই মন্দিরে মূর্তি গড়া হচ্ছে। প্রথম থেকে নিয়ম মেনে রথের দিন কাঠামো পুজো হয়। নাটমন্দিরে প্রতিমা গড়েন শিল্পীরা। শুরুর দিনের নিয়ম মেনে আজও হয় উমার আরাধনা। এবারই প্রথম মিত্র সম্মিলনির পুজোয় ছোঁয়া লাগতে চলেছে থিমের। এবার নাটমন্দিরের ভিতরেই তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। আর পাঁচটা বিগ বাজেটের পুজোর সঙ্গে টেক্কা দিতে এবার থিমের পুজো হবে মিত্র সম্মিলনিতে। মণ্ডপে থিমের ছোঁয়া থাকলেও, প্রতিমায় থাকবে সাবেকিয়ানা।
এক সময় এই পুজোর আকর্ষণ ছিল নাটক। পুজোর দিনগুলিতে রাতভর নাটক মঞ্চস্থ হতো।
চা বাগান থেকে ঠাকুর দেখার পর রাত জেগে নাটক দেখে সকলে ভোর হতে গোরুর গাড়ি ধরে ফিরে যেতেন।
টয় ট্রেনে প্রতিমা নিরঞ্জন ছিল মিত্র সম্মিলনির পুজোর আর একটি আকর্ষণ। শিলিগুড়ির অন্যতম প্রাচীন পুজো মিত্র সম্মিলনি অনেক গল্প-গাঁথার সাক্ষী। সাবেকিয়ানার জন্য এই পুজো সকলের মন কাড়ত। মিত্র সম্মিলনীর অন্যতম কর্মকর্তা সুদীপ রাহা বলেন, ৯৮ বছর ধরে সাবেকিয়ানার ধাঁচে আমাদের পুজো হয়ে আসছে। এবার আমরা কালীঘাটের পটশিল্প নিয়ে থিম পুজোয় শামিল হয়েছি।