আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
প্রশাসনের আধিকারিকররা বলেন, ইতিমধ্যেই নদীর তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। সিভিল ডিফেন্সের ওয়াটার উইং টিম লাইফ জ্যাকেট, স্পিডবোর্ট নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে। এদিকে, পাহাড়ে তিস্তায় জল বাড়ায় সিকিম ও কালিম্পংয়ের লাইফ লাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। কালিম্পংয়ের জেলাশাসক টি বালাসুহ্মণ্যম বলেন, তিস্তায় জল বাড়ছে। তাই নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি এনএইচপিসি’র দু’টি ড্যাম থেকে লাগাতার জল ছাড়া হচ্ছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ব্যবহারকারী বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও সমতলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বুধবার রাত থেকে বৃষ্টির দাপট কিছুটা বেড়েছে। বৃহস্পতিবারও বৃষ্টি অব্যাহত ছিল।
এরজেরেই তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকার জলস্তর অস্বাভাবিক বেড়েছে। সেচদপ্তর সূত্রের খবর, তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় বিপদসীমার উচ্চতা ৮৫.৬৫ মিটার। এদিন সেখানে জলস্তরের উচ্চতা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৫.৯৫ মিটার। এজন্য জলপাইগুড়ির দোমোহনি থেকে মেখলিগঞ্জের বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সঙ্কেত জারি করা হয়েছে। নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় চূড়ান্ত বিপদসীমার উচ্চতা ৮৫.৯৫ মিটার। স্থানীয়দের আশঙ্কা, যেভাবে তিস্তা নদীতে জল বাড়ছে, তাতে জলস্তরের উচ্চতা শীঘ্রই চূড়ান্ত বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। শুধু তিস্তা নয়, জলপাইগুড়ির মাল, মূর্তি, ডায়না প্রভৃতি ছোট নদীতেও জলস্তর হু হু করে বাড়ছে। পুজোর মুখে এনিয়ে নদীর তীরবর্তী জলপাইগুড়ি জেলার লালটংবস্তি, চমকডাঙি, কালিম্পংয়ের তিস্তাবাজার প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কিত। গ্রামবাসীরা বলেন, চলতি বর্ষার মরশুমের শুরুতেই অর্থাৎ জুন ও জুলাই মাসে অস্বাভাবিক বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পুজোর মুখে আবার সেই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। সেচদপ্তর সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে জোর বৃষ্টি হয়নি। এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০ মিলিমিটার। কিন্তু, সিকিম পাহাড়ে জোর বৃষ্টি হয়েছে। যার জেরেই তিস্তার জলস্তর বাড়ছে।