আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
বালুরঘাটের বিডিও সম্বল ঝা বলেন, বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত বন্ধ। ওই ঘাটে নৌকা চালানোর জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। সরকারিভাবে ওই ঘাট এখন থেকে চলবে। বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরূপ সরকার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই ঘাট টেন্ডার ছাড়াই চলছিল। এই প্রথম ঘাটটি সরকারিভাবে টেন্ডার করা হল। পাশাপাশি ওই এলাকায় যাতে একটি স্থায়ী সেতু করা হয়, সেই দাবি আমরা আগেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।
স্থানীয় বাসিন্দা নিতাই রায় বলেন, এই ঘাটে সাঁকো ছিল। কিন্তু জলের স্রোতে তা ভেঙে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার নৌকা চললেও মেশিন খারাপ হয়ে যাওয়ায় এদিন সকাল থেকে তা বন্ধ। ফলে কেউ যাওয়া আসা করতে পারছে না। প্রতিবার বর্ষা এলেই দুর্ভোগ শুরু হয়।
নদীর ওপারে কালিকাপুরের যুবক তপন ঘোষ বলেন, আমরা এদিন সকালে নদী পার হওয়ার জন্য নৌকা পাইনি। ফলে ১০ কিমি ঘুরে বালুরঘাট হাসপাতালে এসেছি। অথচ নৌকা পার হলেই ৫-১০ মিনিটের রাস্তা। বর্ষাকালে প্রতিবার আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বালুরঘাট শহরকে আত্রেয়ী নদী দু’ভাগে ভাগ করেছে। আত্রেয়ীর ওপারেই বহু গ্রাম রয়েছে। সেখান থেকে শহর দেখা যায়। অথচ যখন তখন শহরে যাওয়া যায় না। কারণ, শহর ও গ্রামের মাঝে রয়েছে আত্রেয়ী নদী। তাই বর্ষা এলে কালিকাপুর-রঘুনাথপুর ঘাট দিয়ে পারাপার বন্ধ হয় যায়। ওই রাস্তা দিয়ে শহরের সঙ্গে গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বর্ষা এলে বালুরঘাট শহরের ঢিলছোড়া দূরত্বের কালিকাপুর, ডাকরা, ধাউল, ফুলঘরা সহ বহু গ্রামের মানুষ সমস্যায় পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে আত্রেয়ীর উপর কালিকাপুর-রঘুনাথপুরের সংযোগকারী পাকা সেতুর দাবি উঠছে।