আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, শুক্রবার ময়নাগুড়ি রোডে বাইকের পিছনে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ময়নাগুড়ির বার্নিশ পঞ্চায়েতের যুবক পীযূষ রায় (৩০)। ট্রাকটি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে, হাসপাতালে দেহ নিয়ে আসার পর দেখা যায়, নার্স আছেন, অথচ কোনও চিকিৎসক নেই। যুবকের পরিজনরা চিকিৎসক খুঁজতে হাসপাতালের এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করেন। কিন্তু ডাক্তার পাওয়া যায়নি। বিএমওএইচের অফিসে গেলেও তাঁকে পাননি বলে অভিযোগ। চরম নাজেহাল হয়ে এরপরই ক্ষোভ উগরে দেন মৃতের পরিজনরা। মৃতের দাদা অলোক রায় বলেন, বেলা ১১টা নাগাদ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ভাইয়ের দেহ হাসপাতালে নিয়ে আসি। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কোনও চিকিৎসক আসেননি। পুলিস এলেও হাসপাতাল থেকে রিক্যুইজিশন না মেলায় দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছিল না। দুপুর ২টো নাগাদ রিক্যুইজিশন হাতে আসে। মৃতের বন্ধু শঙ্কর সরকার, সৌমিত্র রায় বলেন, ময়নাগুড়ি শহরে হাসপাতালটি অবস্থিত। কয়েক হাজার মানুষ এখান থেকে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে থাকে। কিন্তু কীভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা চলছে তা এখানে এসে বুঝতে পেলাম। একজনমাত্র চিকিৎসক দিয়ে হাসপাতাল চলছে। মৃতদেহ পড়ে থাকলেও চিকিৎসক নেই। বিএমওএইচ সীতেশ বর বলেন, হাসপাতালে চারজন ডাক্তার। একজন ডেঙ্গুর ট্রেনিংয়ে গিয়েছেন। একজন অসুস্থ। একজন আউটডোরে বসছেন। আমি খবর পেয়ে জরুরি বিভাগে এসে প্রয়োজনীয় নথিপত্র বানিয়ে দিয়েছি। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বরুণ ঘোষ বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে দেখি, মৃতের পরিজনরা অসহায়ভাবে ঘুরছেন। বিএমওএইচ’কে বলে দ্রুত কাজটা করানোর চেষ্টা করেছি। ময়নাগুড়ি থানার পুলিস জানিয়েছে, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি পাঠানো হয়েছে।