আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রিয়তোষ সরকার সহ অন্য শিক্ষকরা ডিএম’কে বেহাল ভবনগুলি দেখান। দেখা যায়, ক্লাসরুম, বারান্দা জল থইথই করছে। দেওয়াল, ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে। ওসব জায়গায় বসার পরিস্থিতি নেই। ডিএম এবং এসপি গোটা স্কুল ঘুরে দেখেন। ছাত্রদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ তাঁরা কথাও বলেন। মিড ডে মিল রান্নার জায়গা ঘুরে দেখেন তাঁরা। ডিএম রান্নায় ব্যবহৃত তেল, মশলা খতিয়ে দেখেন। সেখানে নির্দিষ্ট তারিখ পেরিয়ে যাওয়া কিছু মশলার প্যাকেট পান। ওসব দেখে কেনার নির্দেশ দেন।
পরে ডিএম বলেন, মুখ্যমন্ত্রী চলতি সপ্তাহে জেলায় এসেছিলেন। তিনি যখন মদনমোহন মন্দিরে যাচ্ছিলেন তখন পড়ুয়া, শিক্ষকরা স্কুল ভবনের সমস্যার কথা তাঁর দৃষ্টিতে এনেছিলেন। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী আমাকে ও এসপি’কে স্কুলে আসতে বলেছিলেন। এদিন আমরা এলাম। পড়ুয়াদের সঙ্গে কথাও বলছি। দেখলাম, বেশ কয়েকটি ক্লাসরুমে জল পড়ছে। পূর্তদপ্তরের টিম সঙ্গে ছিল। যত দ্রুত সম্ভব, একটি এস্টিমেট তৈরি করা হবে। হেরিটেজের চরিত্র বজায় রেখে এখানে কাজ করা হবে।
মিড ডে মিল প্রসঙ্গে জেলাশাসক বলেন, খোলা হয়নি এমন মশলার প্যাকেটে দেখা যায়, মেয়াদ উত্তীর্ণ রয়েছে। এখন থেকে ওসব কেনার সময় দেখে কিনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে রান্নার মান ঠিক আছে এখানে।
জেনকিন্স স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রিয়তোষ সরকার বলেন, অনেকদিন ধরে ছাত্রদের বসার সমস্যা। সায়েন্স বিল্ডিং, নিউ বিল্ডিংয়ের অনেক জায়গায় ফাটল ধরেছে। স্টাফরুমের অবস্থাও বিশেষ ভালো নয়। জেলাশাসক দেখে গেলেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট করবেন। সেই অনুসারে হয়তো নির্দেশ আসবে। আমরা পূর্তদপ্তরকেও জানিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী বলে গিয়েছেন, হেরিটেজের মাধ্যমে সংস্কারের ব্যবস্থা করার। তাহলে আমরা খুবই খুশি হব। জেলাশাসক ১৫ দিন পরে আবার আসবেন বলে গিয়েছেন। আমাদের ২৫ জন শিক্ষক কম রয়েছেন। সেটাও জানিয়েছি।
কোচবিহারের প্রাচীন স্কুলগুলির মধ্যে অন্যতম জেনকিন্স স্কুল। প্রায় প্রতি বছরই মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এই স্কুল থেকে ভালো ফলের পালাপাশি রাজ্যের মেধা তালিকায় স্থান করে নেয় পড়ুয়ারা। গত মঙ্গলবার কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেসময় জেনকিন্স স্কুলের কিছু ছাত্র রাস্তায় ফুলের তোড়া নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেখানে শিক্ষকরাও ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী দাঁড়িয়ে পড়লে তাঁর কাছে স্কুলের সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছিল। এরপরই এদিনের এই পরিদর্শন। নিজস্ব চিত্র