সংবাদদাতা, মানিকচক: মানিকচকের নাজিরপুরে কাকিমাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ভাইপোর বিরুদ্ধে। ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন বধূ ও তাঁর পরিবার। বৃহস্পতিবার মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ হওয়ার পর তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ১৮ জুন দুই নাবালক সন্তানের সঙ্গে বাড়িতে ছিলেন নির্যাতিতা। তাঁর স্বামী আমবাগানে পাহারা দেওয়ার কাজে গিয়েছিলেন। রাত একটা নাগাদ বধূ শৌচকর্ম করার জন্য ঘর থেকে বেরোতেই তাঁর ভাইপো পথ আটকায় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। বধূ বাধা দিয়ে চিত্কার করলে যুবক তাঁর গলা টিপে ধরে এবং বেশকয়েক জায়গায় কামড়ে রক্তাক্ত করে। ধর্ষণের পর বধূ অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি জল খেতে চান। অভিযুক্ত জল আনতে গেলে বধূ পালিয়ে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। ফোন করার পর স্বামী বাড়ি ফিরলে বধূ তাঁকে ঘটনার কথা জানান।
বধূর অভিযোগ, ঘটনার কথা কাউকে বলতে বারণ করে হুমকি দিয়েছে অভিযুক্ত। বধূ বলেন, নিজের ভাইপো এমন কাজ করবে ভাবতেও পারিনি। লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষণের কথা প্রথমে বাড়িতে জানাইনি। কিন্তু অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় স্বামীকে বলার পর মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ করি। অভিযুক্ত আমাদের উপর হামলা চালাতে পারে বলে আতঙ্কে রয়েছি। তবে অভিযুক্ত ও তার পরিবারের লোকরা বাড়ি থেকে পালিয়েছে।            
মানিকচক থানার আইসি পার্থসারথী হালদার বলেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে এবং শুক্রবার জেলা আদালতে তাঁর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে। অভিযুক্তকে খুঁজতে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছি।