আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
ওই স্কুলে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শতাধিক পড়ুয়া রয়েছে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কারণে মাত্র ১৯ জন এসেছিল। স্কুলে ৪ জন শিক্ষক এবং একজন শিক্ষিকা রয়েছেন।
স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, এদিন সকালে প্রধান শিক্ষক ফোন করে বলেন, স্কুলে আসব না। কম ছাত্র আসায় মিড ডে মিল দিতে নিষেধ করেন। মিড ডে মিলের বদলে শুকনো খাবার দিতে বলেন। পরে প্রধান শিক্ষক স্কুলে চলে আসেন। রাঁধুনিদের ডাকতে বলেন। প্রধান শিক্ষকের এই দু’রকম কথার প্রতিবাদ করেন এক শিক্ষক। এতে ওই শিক্ষকের সঙ্গে প্রধান শিক্ষক তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন বলে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে। স্কুলের আর এক শিক্ষক বলেন, আমরা ছুটে না এলে হাতাহাতি লেগে যেত। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত ঘোষ।
এদিন স্কুলে কেন রান্না হয়নি? পড়ুয়াদের কেন বিস্কুট দেওয়া হয়েছিল? প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি রান্না করতে বারণ করিনি। সময়মতো রাঁধুনি না আসায় রান্না হয়নি। প্রধান শিক্ষকের দাবি, আমি স্কুলে পৌঁছে খিচুড়ি এবং ডিম রান্না করতে বলেছিলাম। এক শিক্ষক রান্না করার ব্যাপারে আপত্তি করেন। আমি পরে মিড ডে মিল অফ করে দিয়েছি। মানবিকতার খাতিরে বিস্কুট খেতে দিয়েছি।
স্কুলের শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক খেয়াল খুশিমতো স্কুলে আসেন। আবার চলে যান। এদিনও দেরিতে আসেন। প্রধান শিক্ষক জয়ন্তর দাবি, এদিন বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই স্কুলে যেতে দেরি হয়েছে। শিক্ষকদের সঙ্গে বচসা নিয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, কোনও ঝগড়া হয়নি। বিষয়টি আমার সার্কেলকে জানাব। মালদহ সার্কেলের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ভরত ঘোষ বলেন, এদিন ওই স্কুলে মিড ডে মিলে দেওয়া হয়নি বলে শুনেছি। তবে বিস্কুট দেওয়ার নিয়ম নেই। অন্য অভিযোগগুলিও খতিয়ে দেখা হবে।