আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
বাসুদেব অবশ্য বলেছেন, জেলায় আমাদের সংগঠন যথেষ্ট মজবুত। গত লোকসভা ভোটের থেকে এবার ফল অনেক ভালো হয়েছে।
মাত্র এক বছর আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা মানস ঘোষকে প্রার্থী করায় সোমবার প্রকাশ্যেই ক্ষোভ জানিয়েছে বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী। সংবাদমাধ্যমের সামনে দলীয় প্রার্থীর তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী। কাকতালীয়ভাবে ওইদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় জেলা সভাপতির পদত্যাগপত্র। যদিও বাসুদেব পরে যুক্তি দেওয়ায় চেষ্টা করেন, তিনি এই পদত্যাগপত্র কয়েকদিন আগে দলকে পাঠিয়েছিলেন। বিজেপির একাংশ তাঁর এই যুক্তি মানতে নারাজ। দলে বিদ্রোহী নেত্রী হিসেবে পরিচিত বীণা ঝা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এটা ঠিকই যে পদত্যাগ পত্রটি ১৬ জুন লেখা। আসলে বাসুদেব সরকার নিজে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। সেই সঙ্গে প্রার্থী করার জন্য আরেক নেত্রীর নামও তিনি প্রস্তাব করেছিলেন। দল কাউকেই প্রার্থী না করায় তিনি পরিকল্পিতভাবে সোমবার প্রার্থী ঘোষণার পর পদত্যাগপত্রটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেন। তাঁদের হাত ধরেই এই মানস ঘোষ বিজেপিতে এসেছিলেন।
মানসকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি বীণা। তিনি বলেন, যে তৃণমূল নেতার হাতে আমাদের নেতা, কর্মীরা দিনের পর দিন মার খেল, সেই দলবদলু বিজেপির প্রার্থী। সেজন্যই ভোটের মুখে দলের অধিকাংশ কর্মী বসে গিয়েছেন।
লোকসভায় রায়গঞ্জে জিতলেও সারা রাজ্যে বিজেপি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। যা নিয়ে আরএসএস বনাম দলবদলু গোষ্ঠীর কোন্দল প্রায় প্রকাশ্যে চলে আসে। রায়গঞ্জেও এর যথেষ্ট আঁচ পাওয়া যায়। সংগঠনের দীর্ঘদিনের কর্মী ও পেশায় অধ্যাপককে এবারের উপ নির্বাচনে প্রার্থী করার প্রস্তাব দিয়েছিল আরএসএস। দলের অন্যান্য অংশ থেকেও বিভিন্ন স্বয়ংসেবক এবং প্রবীণ নেতাদের নাম প্রস্তাব করা হয় বলে বিজেপির সূত্রে খবর। কিন্তু সংঘের কাউকেই প্রার্থী না করে দলবদলুকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি।