আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
কালিম্পংয়ে ধস বিধ্বস্ত এলাকাগুলির মধ্যে লিকুভির অন্যতম। এদিন সকালে বৃষ্টির জেরে সংশ্লিষ্ট এলাকার ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে পাহাড় থেকে আছড়ে পড়ে বোল্ডার। ভালুখোলার অবস্থাও একই। জাতীয় সড়কের ঋষিখোলা ও পেডংয়ের মাঝে আচকা হুড়মুড়িয়ে নেমে আসে পাহাড়ের মাটি ও বোল্ডার। সংশ্লিষ্ট তিনটি জায়গায় ধস নামায় দুপুর পর্যন্ত জাতীয় সড়ক দিয়ে বন্ধ ছিল যান চলাচল। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পর্যটকরা বিপাকে পড়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক শিলিগুড়ির সঙ্গে কালিম্পং ও সিকিমের লাইফ লাইন। ধসের জেরে রাস্তাটি বন্ধ থাকায় ঘুরপথে শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হচ্ছে। ফলে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
ধস সরাতে এদিন সকাল থেকে ময়দানে নামে কালিম্পং জেলা প্রশাসন। দিনভর চেষ্টা চালিয়ে পূর্তদপ্তর সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি থেকে ধস সরিয়েছে। জেলাশাসক বালাসুহ্মণ্যম টি বলেন, বৃষ্টির জেরে লিকুভির সহ কয়েকটি জায়গায় ধস নামে। তা সরানো হয়েছে। পাশাপাশি লিকুভির ও ২৯ মাইল এলাকায় জাতীয় সড়ক মেরামতির কাজ চলছে। এজন্য কখনও কখনও স্বল্প সময়ের জন্য রাস্তা বন্ধ করা হচ্ছে। ফলে জাতীয় সড়ক পুরোপুরি বন্ধ নেই। ছোট গাড়ি চলছে। এছাড়া যাত্রীদের সুরক্ষায় বিকল্প রাস্তা চালু রয়েছে।
এদিকে নতুন করে ভয়াবহ রূপ ধারণ না করলেও তিস্তার জলস্তর খুব বেশি কমেনি। তিস্তাবাজার এলাকায় নদীর জলস্তরের উচ্চতা প্রায় জাতীয় সড়কের সমান। ভারী বৃষ্টি হলে ফের ওই এলাকা ও রাস্তা নদীর জলের তলায় যেতে পারে বলে আশঙ্কা। প্রশাসন সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে বৃষ্টির পরিমাণ ৩৫ মিলিমিটার। সিকিম পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি হলে তিস্তার জলস্তর আবার বাড়তে পারে। জেলাশাসক বলেন, নদীর গতিবিধি ও আবহাওয়ার উপর নজর রাখা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা টিম প্রস্তুত রয়েছে।
অন্যদিকে, কয়েকদিন আগে প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত হয় সিকিম। বিশেষ করে উত্তর সিকিমের মঙ্গন এলাকায় একের পর এক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় আটকে পড়েন পর্যটকরা। তাঁদের উদ্ধারে ঝাঁপিয়েছে সিকিম প্রশাসন। এদিন তারা লাচুং, চুংথাং সহ আশপাশের এলাকা থেকে ১২২৫ জন পর্যটককে উদ্ধার করেছে।
সিকিম প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে পর্যটকদের উদ্ধার কাজে নামা হয়। ওই দিন উদ্ধার করা হয় ৬৫ জনকে। মঙ্গন থেকে ওই পর্যটকদের নিরাপদে গ্যাংটকে আনা হয়েছে। যারমধ্যে পুরুষ, মহিলা ও শিশু রয়েছে। বেশ কয়েকজন বাংলার পর্যটকও রয়েছেন। এখন হাতেগোনা কয়েকজন পর্যটক আটকে আছেন। তাঁদের উদ্ধার করতে আজ, বুধবার ফের অভিযান চালানো হবে।
চলছে পর্যটকদের উদ্ধারকাজ। নিজস্ব চিত্র